আজকের ভাবনা
জাপানীজ রা হাতে খাবার খাওয়া কে তেমন একটা ভাল চোখে দেখে না। অনেক বাঙ্গালী কে দেখেছি জাপানীজ দের সাম নে হাত দিয়ে খায় না। আমি যখন রিসার্চ করেছিলাম, অনেকে বলেছিল, তাদের ছেলে মেয়ে রা হাত দিয়ে খাওয়ার জন্য বুলিং ( Bulling)এর স ম্মু খীন হয়ে ছিল। আমি যখন জাপানের university তে পড় তাম তখন আমার বাান্ধবীরা ও ব লেছিল তারা হাত দিয়ে খাওয়াকে অসভ্য তা ম নে ক রে কিন্তু আমি তাদের কে হাত দিয়ে খাওয়ার পজে টিভ দিক গুলি তুলে ধরেছিলাম।
চামচের চেয়ে হাতে খাওয়া বেশি স্বাস্থ্যকর
প্রাচীন কাল থেকেই মানুষ অভ্যস্ত হাত দিয়ে খাওয়ায়। তবে বর্তমানে যুগোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে মানুষের হাতে উঠেছে চামচ। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হাতের বদলে চামচ দিয়ে খাওয়াই বেশি পছন্দ করেন অনেকেই। হাতে খাবার লাগাতে চান না, তাই অনেকেই খাবারের সময় চামচ ব্যবহার করেন। চামচে করে খাবার খেলে, তাতে আলাদা কোনো লাভ বা ক্ষতি হয় না। তবে জানলে অবাক হবেন চামচের বদলে হাত দিয়ে খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে অনেক। তবে পশ্চিমী দেশগুলোর অনেক রেস্তোরাঁতে এখন আবার হাত দিয়ে খাওয়াকেই বেশি উৎসাহিত করা হচ্ছে। হাত দিয়ে খাবার খাওয়ার বেশ কিছু স্বাস্থ্যগুণ আছে।
জেনে নিই হাত দিয়ে খাওয়ার উপকারিতা গুলো কি কি-
** ক্ষতিকারক অনুজীবী: আমাদের হাতে এমন কিছু উপকারী ব্যাকটিরিয়া রয়েছে যা বেশ কিছু ক্ষতিকারক অনুজীবীদের থেকে আমাদের রক্ষা করে। আর ঠিক এই কারনেই হাত দিয়ে খাবার খেলে সেই উপকারী ব্যাকটিরিয়াগুলি আমাদের খাদ্যনালীতে প্রবেশ করে।
** ব্যাকটিরিয়া: সহজেই খাবার হজমে সাহায্যে করে সেই ব্যাকটিরিয়াগুলি। তবে খাওয়ার আগে অবশ্যই ভালো করে হাত ধুয়ে তবেই খাওয়া উচিৎ।
** মস্তিষ্ক- পাকস্থলির কাজ: আমাদের পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের মধ্যে ত্বক একটি ইন্দ্রিয়। হাতের আঙ্গুলের ডগায় অনেক বেশি স্নায়ু থাকে, যা স্পর্শের ফলে কোনও বস্তুতে বুঝতে সাহায্য করে। ঠিক একই রকম পদ্ধতিতে আমরা যখন হাত দিয়ে খাবার খাই মস্তিষ্ক পাকস্থলির কাজ শুরু করার জন্য বার্তা পাঠায়। আর এর ফলে খাবার পাকস্থলিতে যাওয়ার আগেই পাকস্থলির কাজ শুরু হয়ে যায়। এই পক্রিয়ার ফলে খাবার হজমে সাহায্য করে।
** রক্ত চলাচল বৃদ্ধি: হাত দিয়ে খাবার মাখার সময়ে আঙুলের ব্যবহার হয়। আঙুল দিয়ে খাবার মাখার সময়ে হাতের পাশাপাশি সারা শরীরের রক্ত চলাচলের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।
** হজমের সুবিধা: হাত দিয়ে খেলে খাবার চিবানোর জন্য বেশি সময় পাওয়া যায়। তাতে খাবার বেশি মাত্রায় হজম হয়। হাতে এমন কিছু ভালো ব্যাকটেরিয়া থাকে, যেগুলো খাবার হজমে সাহায্য করে। চামচ দিয়ে খেলে এই সুবিধা পাওয়া যায় না।
** ডায়াবেটিসের আশঙ্কা কমে: ‘ক্লিনিকাল নিউট্রশন’ প্রকাশিত এক পরিসংখ্যান বলছে, যারা হাত দিয়ে খাবার খান, তাদের মধ্যে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের আশঙ্কা তুলনায় কম।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যারা চামচ দিয়ে খান, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাঁরা খুব তাড়াতাড়ি খান। তাদের খাবার পরিমাণ অনেক বেশি হয়। তবে হাত দিয়ে খেলে অতিরিক্ত খাওয়ার উপর নিয়ন্ত্রণ রাখা যায়।
বেশির ভাগ সময়ই দেখা যায় যাঁরা চামচ দিয়ে খান। তারা অনেক সময় খাবারের দিকে মনযোগ না দিয়েই খেতে থাকেন। তবে হাত দিয়ে খেলে তা হয় না। খাবার হাতে নেয়ার সময় প্রতিবার খাবারের দিকে তাকাতেই হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঠিক এই কারণেই মন দিয়ে খেলে হজমও ভাল হয়।
খাবার দেখে অনেক সময় বোঝা যায় না খাবার গরম না ঠান্ডা। এক্ষেত্রে চামচ ব্যবহার করলে অনেক সময়ই গরম খাবার এর ফলে জিভ পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। হাত দিয়ে খেলে এই সম্ভাবনা থেকে রেহাই পাওয়াই যায়। জিভের তুলনায় আঙুলের ত্বক অনেক পুরু হওয়ায় ক্ষতির পরিমাণ কম হয়।
ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন জার্নালে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্তেরা খুব তাড়াতাড়ি খান। এই বিষয়ে সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, যাঁরা চামচ ব্যবহার করেন তারাও তুলনামূলকভাবে খুব তাড়াতাড়ি খান। ফলে অসুস্থ্য হওয়ার সম্ভাবনাও তাঁদের বেশি থাকে।
এছাড়া মনে করা হয় তাড়াতাড়ি খেলে হজমের সঙ্গে রক্তে শর্করার মাত্রারও তারতম্য ঘটে। তাই এই ধরনের রোগীদের হাত দিয়ে খাওয়াই বেশি স্বাস্থ্যকর।