Thursday, March 31, 2022

সু্খ নিয়ে ভাবনা

সু্খ তুমি কি বড় জানতে ইচ্ছে করে?

 সুখের কথা বোলো না আর, বুঝেছি সুখ কেবল ফাঁকি।

কারণ 

সাফল্য আর টাকা থাকলে সেই মানুষ কে আমরা সুখী মনে করি সেটা নাকি ঠিক ধারণা না।

প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ম্যালথাস এই তত্ত্বকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেন এবং পাঁচ স্তরের চাহিদাতত্ত্বের সূত্র দেন, যেখানে তিনি বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন যে মানুষের চাহিদা একটা পূরণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আর একটি উন্নত চাহিদা তার সামনে এসে হাজির হয়। সুতরাং কোনো একটি নির্দিষ্ট চাহিদা পূরণ হলেই সুখের নাগাল পাওয়া গেল তা বলা যাবে না। আপাতদৃষ্টিতে সুখ একটি মনস্তাত্ত্বিক ব্যাপার। এটা একটা অনুভব, অনুভূতি।

কোনো একটি নির্দিষ্ট প্রয়োজনে কতটুকু প্রাপ্তিতে একজন সন্তুষ্ট হবেন, তার ওপর সুখ নির্ভর করে। ধরা যাক, একজন ব্যক্তির অর্থনৈতিক সক্ষমতায় তিনি একটি সাইকেল কিনতে পারবেন। কিন্তু তিনি যদি আফসোস করেন, কেন একটি মোটরসাইকেল কিনতে পারলেন না, তাহলে তিনি অসুখী। আর যদি কেউ তার যা সামর্থ্য আছে তাতেই তুষ্ট থাকেন, অর্থাত্ ঐ সাইকেলেই যদি এক ব্যক্তি মানসিকভাবে তৃপ্ত হতেন, তাহলে তিনি সুখ খুঁজে পেতেন।

কামিনী রায় উপদেশ দিয়েছেন, 

‘সুখ সুখ করে কেঁদো না আর, যতই কাঁদিবে ততই ভাবিবে, ততই হবে হূদয় ভার।

কিন্তু 

সবাই ত সুখী হতে চায়।

আমার চাওয়া , জগতের সবাই সুখী হোক।

No comments:

Post a Comment