Sunday, December 19, 2021

 ত্বকের কালচে ভাব কাটানোর জন্য 

বাড়িতেই ফেশিয়াল করে নিতে পারেন। বাজার থেকে কোনও ফেশিয়াল কিট কেনারও প্রয়োজন নেই। রান্নাঘরের উপকরণ দিয়েই হয়ে যাবে সব ব্যবস্থা। জেনে নিন কী ভাবে।

ক্লিনজিং

যে কোনও রূপচর্চার প্রথম ধাপ ত্বক ভাল করে পরিষ্কার করার।  

মুখ জল দিয়ে ভাল করে ধুয়ে একটি নরম কাপড় দিয়ে মুছে নিন। 

বেসন এবং সামান্য দই মিশিয়ে একটি প্রলেপ বানিয়ে নিন। 

তারপর এই প্রলেপ লাগিয়ে ১০ মিনিট রেখে দিন। 

শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে প্রথমে ভিজিয়ে নিয়ে ঘষে ঘষে তুলে ফেলুন। 

স্ক্রাব

কফির গুঁড়ো এবং সামান্য নারকেল তেল মিশিয়ে একটি স্ক্রাব তৈরি করুন। 

মুখে লাগিয়ে ভাল করে ঘষতে হবে। তবে আলতো হাতে ঘষবেন। 

 হয়ে গেলে জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

ম্যাসাজ

এরপর প্রয়োজন ত্বকে ভাপ নিতে হবে অন্তত ১৫ মিনিট। 

একটি পাত্রে গরম জল নিয়ে মাথার উপর গামছা বা তোয়ালে দিয়ে ঢেকে ভাপ নিতে হবে। হ

য়ে গেলে মধু এবং লেবুর রস মিশিয়ে ত্বকে লাগান। 

অন্তত মিনিট ১৫ মুখে আঙুল দিয়ে মুখে মাসাজ করতে হবে। 

হয়ে গেলে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

ময়েশ্চারাইজিং

সব শেষে প্রয়োজন ত্বক আর্দ্র করার। না হলে ফেশিয়ালে যা যা উপকার হল, সেই গুণ নিমেষে উধাও হয়ে যাবে। 

বাড়িতে খাঁটি অ্যালো ভেরা জেল থাকলে তা লাগিয়ে নেওয়া সবচেয়ে ভাল। 

তা না হলে যে ক্রিম ব্যবহার করেন, সেটাই ভাল করে মুখে-গলায় লাগিয়ে নিতে পারেন।


Thursday, December 9, 2021


 ত্বকের যত্ন 

 ত্বকের সমস্যা বুঝে মাস্ক লাগাবেন। এক টেবিল চামচ অ্যাভোকাডোর ক্বাথ, এক টেবিল চামচ টক দই এবং এক টেবিল চামচ মধু এক সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ চোখের অংশ বাদে ত্বকের বাকি অংশে লাগিয়ে রখুন ১৫ মিনিট। এরপর হালকা গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে মুখ মুছে নেবেন। শেষে ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিতে ভুলবেন না।

skin careত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরাতে অল্প মধুর সঙ্গে এক চিমটে হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে মুখে লাগাতে পারেন

যদি ত্বক নির্জীব দেখায় তাহলে উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে খানিকটা মধুর সঙ্গে এক চিমটে হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন। এতে ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে। ত্বকের সব টক্সিন ফ্লাশ আউট হবে এবং মুখে কোনো দাগ-ছোপ থাকলে তাও হালকা হবে। এই মাস্কও ১৫ মিনিট রাখলেই যথেষ্ট। তারপর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

Saturday, December 4, 2021

 

২৪/১২/২০২১

শনিবার

আমার এই গাছে ফুল ফুটেছে, বিশ্বাস করতে পারছি না। মৃতপ্রায় চারাগুলিকে আমি পেয়েছিলাম হাঁটা 

পথে।

মায়া হল। এসেই লাগিয়ে দিলাম। আর আজ

ফুলে ফুলে ভরে উঠেছে।

ম ন টা ভ রে উঠল।

আল্লাহর নেয়ামত। কি সুুন্দর। 

কুড়িয়ে  পেলাম যাকে, সে আমার বারান্দাকে শুধু 

সুুন্দর কর ল না, ভ রি য়ে  দিল আমার ম ন টা কে

আমার ম ন টা আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতায় ভ রে গেল।




Sunday, November 28, 2021


 

29/11/2021

Monday





আমি, লেখিকা সুচিত্রার  রাইকিশোরী বইটা পড়ে শেষ 
করলাম। 
ভালই রিলেট ক রতে পেরেছি।
পড়ে শেষ না করে উঠতে পারিনি।  

বইটি পড়ে আমি যা বুঝলাম
মেয়েদের স মস্যার শেষ নেই, আসলে মানুষের সমস্যার  শেষ নেই। তবে সমস্যা গুলি প্রায় এক ই রকম।  বাঙ্গালী মেয়েদের পরাধী্ন ম ন মানসিক তা যেমন দায়ী, তেম নি দায়ী সমাজ ও কালচার।
ভারতীয় ব্রিটিশ মেয়ে, যারা পরাধীন না তাদের ও সমস্যা আছে।  সব বাধা বিপত্তি পার হতে গেলে মেয়েদেরকে নিজেই নিজের পথ খুজে নিতে হবে


কিছু কিছু কথা খুবই মনে ধরেছে,  লিখে রাখলাম।
ঘর ত বাঁধি আমরাই, মেয়েরাই
আপনারা সেখানে বাস করেন মাত্র
পরগাছা জীবন কত অসহায়
When  a chapter is closed, it is closed for ever.
তাকাও চারদিকে। গেট ইনভ্লব্ ড
যতই কষঠ হোক কেউ ই িঞ্চ জমি ছাড়বে না আমাকে, এটাই নিয়ম, এ যুগ টা শুধু দখল নেওয়ার
এই পৃথিবী তে নিজে দের জায়গা খুঁজে নেওয়ার কাজ তোমাদের
আমাদের প রি বেশে একটা মেয়ে স্বাধীন অস্তিত্বের ক থা চিন্তা ক রলে , সবাই  বো ধ হয় এভাবেই তাকে পাঁচিলে গেঁথে
ফেলতে চায় আর সেই বর্শায় সব থেকে ধারালো ফলা হয়
মেয়েরা
সম্পর্ক একবার চিড় খেয়ে গে্লে তাকে জোর ক রে জো ড়া 
লাগানোর চেষঠা না ক রাই ভাল।






 


Saturday, November 27, 2021








 Bad timing doesn't exist. The people your heart chooses at what it thinks is the wrong time, are simply the wrong peope. They are simply just the ones who are meant to get away.

They were simply just the ones who were never meant to stay. Because at the end of the day, the right people will fight for you. The right people show up. The right people care, not only when life is convenient, but when it's difficult, and messy, and it aches all over. 

The right people take the chance, they choose you just as confidently as you choose them. They hand you their heart, they bet on you. They believe in what you share with a ruthless conviction, with a hope that spills out of them. Have the courage to wait for these people. Do not settle for half loves, do not settle for someone who doesn't see the value in holding your heart. 

The people who walk away from you because the timing isn't right, are simply just the people who are not willing to put the right amount of time into you. Let that be your closure."

Bianca Sparacino.

Saturday, November 20, 2021

 

▲包んでいるのは、焼き鳥の人気メニュー“ネギマ”。お酒にピッタリのレシピです

春巻きはどこまで簡単になるかを追求して、コンビニでも手に入る食材だけで作ってみました。からしを入れることで味が締まり、いくつでも食べられちゃいます。

夏井さん
夏井さん
  • 春巻きの皮 2枚
  • 焼き鳥の缶詰 1缶
  • からし 適量
  • 長ネギ 1/3本

焼き鳥のタレがたくさんついていると、油はねの原因に。キッチンペーパーで軽く拭いたり、箸で少し落としておきましょう。

夏井さん
夏井さん

焼き鳥はすでに焼いてあるので、ネギに火が通ればOK! この春巻きはサイズが小さいので

 


Friday, November 19, 2021

 20/11/2021

শনিবার














 




 





 


 





 





 


 

 


১৯/১১/২০২১   শুক্রবার

জাপানের শরতকাল, আমাদের দেশের বসন্তের মত। যেদিকে তাকাবে, সেদিকে হলুদ আর লাল। আরামদায়ক আবহাওয়া।

আমার উনি মিষ্টি খুব পছন্দ করে তাই বানালাম রসগোল্লা আর গোলাপজামুন।

খেতে দারণ হয়েছে।

এই দেশে ফুল ফ্যাটের গরুর দুধ এখনও পেলাম না। তাই ছানা খুবই কম হয়।

যাক উনি খেলেন খুবই ভালবেসে, সেটাই ত আমার আনন্দ।

Monday, October 25, 2021

 

জান্নাতুল মাওয়া আইনান: পুরুষদের নেতৃত্বে করা বিপ্লবে আমার আস্থা নেই!

জান্নাতুল মাওয়া আইনান

পুরুষ যখন সাহিত্য করে, তার চাকরিতে কম বেতনের দুঃখ লেখে, পকেটে সিগারেট কেনার টাকা নেই লেখে, সুন্দরী মেয়ে দেখলে হাঁ হয়ে তাকিয়ে থাকার কথা লেখে, স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার কথা লেখে তখন সেটা মধ্যবিত্তের সাহিত্য। নারীপুরুষ নির্বিশেষে সবাই সেই সাহিত্য পড়ে আর চোখের পানি মুছে। আর নারী যখন সাহিত্য করে, তার চাওয়া আর না পাওয়ার গল্প লেখে তখন সেটা হয়ে যায় ‘নারীবাদি সাহিত্য’। পুরুষরা সেসব পড়ে না, পড়লেও কাউকে বলে না যে পড়েছি। নারীরাও সবাই পড়ে না। ‘নারীবাদি সাহিত্য’ আবার একটা পড়ার জিনিস! কেন পুরুষদের গল্প সার্বজনীন হতে পারলো, আর নারীদের গল্প কেবল নারীদের মাঝেই রয়ে গেলো? কেন পুরুষেরা নারীদের গল্পগুলো জানতেই চায় না? এতো সংকীর্ণতার কারণ কী? কয়েকদিন আগে ‘উইম্যান এন্ড জেন্ডার ইন কুরআন’ কোর্সের আলোচনায় এই বিষয়টা উঠে এসেছিলো। আমরা আলোচনা করছিলাম, কেন মুসলিম নারী তাফসিরকারকদের তাফসিরগুলো কখনো মূলধারার আলোচনায় জায়গা করে নিতে পারেনি। এর অন্যতম একটা কারণ হলো, পুরুষ তাফসিরকারক আর গবেষকদের যেই চেইন বা সার্কেল তৈরি হয়েছে সেখানে নারীদের কোনো জায়গা নেই। গবেষকরা একে অন্যের তাফসির নিয়ে আলোচনা করছেন, সমালোচনা করছেন, যা-ই কিছু করেন না কেন এতে তাফসিরগুলো আলোচনায় থাকছে, মূলধারায় ধীরে ধীরে স্থান করে নিচ্ছে। অন্যদিকে নারীদের প্রশ্ন আর সমস্যাগুলোকে মূলধারার ইসলামি চিন্তবিদ্গণ, এমন কি যারা গবেষক তারাও কখনো গুরুত্ব দিয়ে দেখেননি। এই আলোচনা করতে করতেই মনে আসলো নারীদের লেখা বই পাঠে পুরুষদের অনীহার বিষয়টা।
আমেরিকান লেখক এলিজাবেথ গিলবার্টের বেশ জনপ্রিয় একটা বই ‘ইট প্রে লাভ’। মূলত এটা লেখকের নিজের জীবনের একটা অস্থির সময়ের গল্প। বইটার মূল পাঠক নারীরা। আমার পরিচিত কোনো ছেলে এই বইটা পড়ে নাই, বা পড়ার আগ্রহ দেখায়নি। আমি বলছি না যে ঠিক এই বইটাই একটা রসগোল্লা, অথবা এই বই না পড়লে জীবন বৃথা। এই বইটার কথা শুধু উদাহরণ হিসেবেই আনলাম।

মোটের ওপর নারীদের লেখা আত্মজীবনীগুলো পুরুষরা আগ্রহ নিয়ে পড়ে না। অথচ মেয়েরা পুরুষদের আত্মজীবনী পড়েও কোনো না কোনোভাবে কানেক্ট করতে পারে। এর মানে পুরুষেরা পাঠক হিসেবে সংকীর্ণমনা। তারা একজন নারীর জীবনের গল্প পড়তেও চায় না, পড়লেও কানেক্ট করতে পারে না। যাদের সঙ্গ আর ভালোবাসা তারা প্রার্থনা করে তাদের বিষয়ে জানার আগ্রহ কেন এতো কম? নারীদেরকে জানার জন্যেও তারা পড়ে পুরুষদের লেখা ‘মেয়েরা যেমন হয়’ মার্কা স্থুল টাইপের বইপত্র। সুতরাং, ধর্ম, সাহিত্য, সমাজ, আইন, রাজনীতি ইত্যাদি সকল কিছুতেই নারীরা নিজেদের জায়গা করে নেবার জন্যে যে যুদ্ধটা চালিয়ে যাচ্ছে তার প্রায় পুরোটা তারা একাই করছে। ইতোমধ্যেই এস্টাবলিশড একটা সিস্টেমে নিজের অবস্থান তৈরি করা, অথবা সিস্টেমটা ভেঙে ফেলা, অথবা প্যারালাল আরেকটা সিস্টেম তৈরি করা, এই কাজগুলোর কোনোটাই এতো সহজ নয়। পুরুষদের নেতৃত্বে করা বিপ্লবেও আমার আস্থা নেই। তারা তাদের বিপ্লবে নারীদের কথা বলেও না, ভাবেও না। এই লেখা পড়ে আবার আমাকে পুরুষবিদ্বেষী ভাববেন না। কারণ – ভালোবেসে দেখিয়াছি ছেলেমানুষেরে,/ অবহেলা ক’রে আমি দেখিয়াছি ছেলেমানুষেরে,/ ঘৃণা ক’রে দেখিয়াছি ছেলেমানুষেরে / … তবু এই ভালোবাসা ধুলো আর কাদা। (কবিতাটা জীবনানন্দের। সে অবশ্য মেয়েমানুষের কথা বলেছে। আমি ছেলেমানুষের কথা কইলাম। বোধটা একই)। Jannatul Maoa Ainan’র ফেসবুক ওয়ালে লেখাটি পড়ুন।

 

সুহেলী সায়লা আহমদ: সামাজিকীকরণের ত্রুটি ও নারী

নারী সমাজের শিল্প ও সংস্কৃতির অংশীদার। তারও আত্মপরিচয় আছে। কিন্তু এটাকে দমিত করে রাখে সমাজ। নারীর মেধাকে অস্বীকার করে সমাজ ব্যবস্থা একটি স্বতন্ত্র কাঠামো তৈরি করে নিয়েছে। যে কাঠামোয় বিয়ের আগে পিতা ও ভাইয়ের কর্তৃত্ব আর বিয়ের পর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির কর্তৃত্ব মেনে নেয়। আর সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া হিসেবে পরিবারের মা ও অন্যান্য নারী সদস্যরা শিখিয়ে দেন শৈশব থেকেই মেয়ে শিশু হিসেবে কীভাবে তার কণ্ঠস্বর, ক্ষমতা, প্রভাব আর মেধাকে নমনীয় রাখবে। তবুও বর্তমান কর্মক্ষেত্রে নারীরা অনেক ব্যস্ত হয়েছে এবং সফলও হয়েছে। আজকে চিকিৎসক, প্রকৌশলী, বিমানচালক, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, উদ্যোক্তা হিসেবে নারীকে পাওয়া যায়। এসব নারীদের সফলতার পেছনের ইতিহাস অনেকেরই অজানা। তবে তারাই পথ তৈরি করছেন আগামীর জন্য। কিন্তু পাশাপাশি বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে নারীর প্রতি সহিংসতা যা কিনা বাংলাদেশের নারীদের অর্জনকে ঝুঁকিতে ফেলেছে। কারণ ক্ষুদ্রঋণ, তৈরি পোশাক শিল্প বা অন্য ক্ষেত্রে নারীরা সক্রিয় হলেও পারিবারিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ভোগে কতোটা স্বাধীন তা নিশ্চিত নয়। তৃণমূল থেকে সংসদ পর্যন্ত আমাদের নারীদের অংশগ্রহণ বেশি হলেও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নারীর প্রতি সহিংসতা। তাই গুটিকয়েক নারী সমাজে প্রতিষ্ঠিত হলেই সেই সমাজে নারীর মূল্যায়ন হচ্ছে তা ভাবার অবকাশ নেই। পরিবর্তন আনতে হবে নারীর প্রতি মানসিকতায়। নতুবা নারীর প্রতি সহিংসতা দূর করা সম্ভব নয়।

রাষ্ট্রীয় জীবনে উচ্চতর শিক্ষা ও দক্ষতা, মানসম্মত জীবিকার সুযোগ, আয় ও সম্পদ, রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন এগুলোই নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্র। কিন্তু কখনোই আমরা ভেবে দেখি না এই ক্ষেত্রগুলোতে সফল হওয়ার জন্য নারীকে উপযুক্ত পরিবেশ দিচ্ছি কিনা, একজন পরিণত কর্মজীবী নারী পর্যাপ্ত আত্মবিশ্বাস নিয়ে কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের হতে পারছে কিনা। তার জন্য প্রথমেই আমাদের মনোযোগ দিতে হবে সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়াতে। সামাজিকীকরণ এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে মানুষ তার নিজেকে বর্তমান ও ভবিষ্যতের সকল ধরনের মিথষ্কিয়ার জন্য প্রস্তুত করে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই গড়ে ওঠে সমাজ ও সমাজের প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি। পরিবার হলো এর প্রাথমিক স্তর যেখান থেকে মানুষ ভবিষ্যতের বৃহত্তর পরিবেশের সঙ্গে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে পারে। পরিবারে শিশু যে মনস্তত্ত¡ নিয়ে বেড়ে ওঠে তারই সুনিপুণ প্রতিফলন ঘটায় বৃহত্তর সামাজিক পরিবেশে। তার মানে এই নয় যে, কেবল শিশুকালেই আমাদের মানসিক বিকাশ হয়। বরং সামাজিকীকরণ একটি জীবনব্যাপী প্রক্রিয়া। শিশুকালে পরিবার ও পারিপার্শ্বিক জগৎ থেকে যদি সঠিক মনস্তত্ত¡ গড়ে না ওঠে তবে ভবিষ্যৎ জীবনের বৃহত্তর পরিবেশ থেকে আমরা নতুন কিছু শিখতে পারবো না। একই সঙ্গে উপযুক্ত পরিবেশ ও সময়ে সঠিক আচরণও করতে পারবো না।

সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ার ত্রæটি সমাজে নারীকে মানুষ হিসেবে পরিচিত হতে দেয় না। পরিবারে, কর্মক্ষেত্রে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, সামাজিক অনুষ্ঠানে নারীকে যেসব অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় তার গোটাটাই সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ার ত্রæটির কারণে। এই সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ায় মাসহ অন্যান্য নারী সদস্যরাও পরিবারে কন্যা শিশুটিকে সীমাবদ্ধ পরিবেশে বেড়ে ওঠতে উদ্বুদ্ধ করেন। আর ছেলে শিশুটিকে সুযোগ করে দেন সমাজের বৃহত্তর পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে। কন্যা শিশুকে শেখান গৃহস্থালীর কাজ আর নিজেকে কতোখানি অবদমন করে রাখা যায় তার প্রক্রিয়া। আর পুত্রকে শেখান কীভাবে সমাজে টিকে থাকা যায়, লড়াই করে কীভাবে নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা যায়। এ ধরনের সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া নারীকে কখনো আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সাহস যোগাতে পারে না। তাই নারীকে ঘরের বাইরে অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতির মুখোমুখি হতেই হয়।
আজকের বিশ্ব অনেক দূর এগিয়েছে। নারী এখন চিকিৎসক, প্রকৌশলী, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, খেলোয়াড়। নারীর পেশাগত পরিচয় থাকুক আর নাই থাকুক তাদের মাঝে মৌলিক কিছু বিষয়ে মিল রয়েছে। প্রথমত: নারীর পেশাগত পরিচয় থাকা সত্তে¡ও অধিকাংশ সময় ঘরের বাইরে বেরিয়ে এসে কাজ করার জন্য সমাজের ভ্রæকুটির সম্মুখীন হয়। দ্বিতীয়ত: কর্মজীবী হলেও সব নারী তার উপার্জিত অর্থের ওপর অধিকার রাখতে পারে না। তৃতীয়ত: মা হিসেবে নারীকে গৃহস্থালীর কাজ এবং কর্মক্ষেত্র থেকে যে সাময়িক বিরতি নিতে হয় তাও সমাজ ব্যঙ্গাত্মক দৃষ্টিতে দেখে। চতুর্থত: কর্মজীবী হলেও সব নারীর পারিবারিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সমান সুযোগ নেই। এ সকল বিষয় নিয়ে আমাদের নতুন করে ভাবতে হবে। কর্মক্ষেত্রে নারীর পদায়ন হচ্ছে কিন্তু ক্ষমতায়ন হচ্ছে না। পদায়ন একটি প্রতীকী বিষয় কিন্তু ক্ষমতায়ন বাস্তব বিষয়। সরকারি বেসরকারি সকল পর্যায়ে নারীরা উচ্চ পর্যায়ে আসীন। এসব নারীর প্রতীকী ক্ষমতায়ন। এই প্রতীকী ক্ষমতায়নের পাশাপাশি নারীকে গৃহেও বঞ্চনার শিকার হতে হচ্ছে সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ার বদৌলতে। আমাদের বাবা-মাকে মেয়েকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে হবে। মেয়েকে লেখাপড়া শিখিয়ে সুপাত্র করার বাইরেও যে অন্য স্বপ্ন দেখা যায় ও বাস্তবায়ন করা যায় বাবা-মাকে তা উপলব্ধি করতে হবে। এই উপলব্ধি করার ক্ষমতাই আমাদের প্রচলিত সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ার ভিত্তি নাড়িয়ে দিতে পারে। পরিবার থেকেই যদি পুত্র ও কন্যা একইসঙ্গে আত্মবিশ্বাসী হয়ে গড়ে ওঠে তবে সে ভবিষ্যতেও সমাজ ও রাষ্ট্রকে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ভালো কিছু উপহার দিতে পারবে। পাশাপাশি পুত্রশিশুও কন্যাশিশুকে বৈরী দৃষ্টিতে নয় বরং বন্ধুর দৃষ্টিতে দেখতে শিখবে, যার সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়বে পরিবারে, কর্মক্ষেত্রে, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে।

Friday, October 1, 2021

 Here are some inspiring words from Albert Einstein:

Ken Anirudha Van Skaik


🙏💫
I didn't arrive at my understanding of the fundamental laws of the universe through my rational mind.”
“Concerning matter, we have been all wrong. What we have called matter is energy, whose vibration has been so lowered as to be perceptible to the senses. Matter is spirit reduced to point of visibility. There is no matter.”
"Time and space are not conditions in which we live, but modes by which we think.
Physical concepts are free creations of the human mind, and are not, however it may seem, determined by the external world."
“Time does not exist – we invented it. Time is what the clock says. The distinction between the past, present and future is only a stubbornly persistent illusion.”
“I think 99 times and find nothing. I stop thinking, swim in silence, and the truth comes to me."
"The intellect has little to do on the road to discovery. There comes a leap in consciousness, call it intuition or what you will, the solution comes to you and you don’t know how or why.”
"A human being experiences himself, his thoughts and feelings as something separated from the rest, a kind of optical delusion of consciousness. This delusion is a kind of prison for us, restricting us to our personal desires and to affection for a few persons nearest to us. Our task must be to free ourselves from this prison by widening our circle of compassion to embrace all living creatures and the whole of nature in its beauty."
"Our separation from each other is an optical illusion."
“When something vibrates, the electrons of the entire universe resonate with it. Everything is connected. The greatest tragedy of human existence is the illusion of separateness.”
“Reality is merely an illusion, albeit a very persistent one.”
“We are souls dressed up in sacred biochemical garments and our bodies are the instruments through which our souls play their music.”
“When you examine the lives of the most influential people who have ever walked among us, you discover one thread that winds through them all. They have been aligned first with their spiritual nature and only then with their physical selves.”
“The true value of a human being can be found in the degree to which he has attained liberation from the self.”
“The ancients knew something, which we seem to have forgotten.”
“The more I learn of physics, the more I am drawn to metaphysics.”
“One thing I have learned in a long life: that all our science, measured against reality, is primitive and childlike. We still do not know one thousandth of one percent of what nature has revealed to us. It is entirely possible that behind the perception of our senses, worlds are hidden of which we are unaware.”
“I’m not an atheist. The problem involved is too vast for our limited minds. We are in the position of a little child entering a huge library filled with books in many languages. The child knows someone must have written those books.”
"The common idea that I am an atheist is based on a big mistake. Anyone who interprets my scientific theories this way, did not understand them."
"Everything is determined, every beginning and ending, by forces over which we have no control. It is determined for the insect, as well as for the star. Human beings, vegetables, or cosmic dust, we all dance to a mysterious tune, intoned in the distance by an invisible piper."
“The religion of the future will be a cosmic religion. It will transcend a personal God and avoid dogma and theology.”
“Energy cannot be created or destroyed, it can only be changed from one form to another.”
“Everything is energy and that is all there is to it. Match the frequency of the reality you want and you can not help but get that reality. It can be no other way. This is not philosophy. This is physics.”
"I am happy because I want nothing from anyone. I do not care about money. Decorations, titles or distinctions mean nothing to me. I do not crave praise. I claim credit for nothing. A happy man is too satisfied with the present to dwell too much on the future."

Wednesday, September 29, 2021

 আলুর পাকোড়া



উপকরণ: 

অলিভ অয়েল বা সাদা তেল, চারটে ছোট মাপের আলু, এক কাপ কেটে রাখা পেঁয়াজ, তিনটে ছোট ছোট কুচি করে রাখা কাঁচা লংকা, পরিমাণমতো ধনেপাতা কুচি, আধ টেবিল চামচ আদা বাটা, আধ টেবিল চামচ রসুন বাটা, হাফ কাপ বেসন, দুই টেবিল চামচ চালের গুঁড়ো, হাফ টেবিল চামচ বেকিং পাউডার, পরিমাণমতো লবণ

প্রণালী: 

প্রথমে আলু হালকা সেদ্ধ করে নিন।এবার সেদ্ধ করা আলু একটি পাত্রে নিয়ে রেখে দিন। অন্য একটি পাত্রে কেটে রাখা পেঁয়াজ এবং মরিচ কুচি, আদা এবং রসুন বাটা, এক চিমটে লবণ দিয়ে মেখে নিন। এবার এই মিশ্রণটিতে সেদ্ধ করে রাখা আলু হালকা ভাবে ছোট ছোট করে ভেঙ্গে নেবেন। একেবারে চটকে ফেলবেন না। এবার হালকা ভাবে আলুটা মেখে নিন পেঁয়াজের মাখা মিশ্রণটির সঙ্গে। খেয়াল রাখবেন আলু সেদ্ধ মাখার মতো চটকে না যায়।

এবার আলু হালকা মাখা হয়ে গেলে তার মধ্যে বেসন, চালের গুঁড়ো এবং বেকিং পাউডার নিয়ে হালকাভাবে মেখে নিন। একটু সামান্য পরিমাণ পানি দিয়ে আলতোভাবে মেখে নিন। কড়াইয়ে তেল গরম করে করুন। ফুটন্ত ডুবো তেলে মেখে রাখা আলুর মিশ্রণটি গোল করে ছেড়ে দিন। এবার কড়া করে লালচে করে ভেজে সসের সঙ্গে গরম গরম আলুর পাকোড়া পরিবেশন করুন।

 



ভুট্টার পাকোড়া

উপকরণ:

 ভুট্টার দানা ৩ কাপ, পেঁয়াজ ২টি, ক্যাপসিকাম ১টি, কাঁচা মরিচ ৪টি, আদা বাঁটা ১ টেবিল চামচ, মরিচ গুঁড়ো আধ চা চামচ, ধনেপাতা এক মুঠো, বেসন আধ কাপ, কর্নফ্লাওয়ার আধ কাপ, লবণ স্বাদমতো, তেল ১ কাপ, মৌরি গুঁড়ো ১ টেবিল চামচ, ভাজা জিরে গুঁড়ো ১ টেবিল চামচ, চাটমশলা ১ টেবিল চামচ।

প্রণালী: 

সবজিগুলো টুকরো করে কেটে নিন। একটি পাত্রে বেসন, কর্নফ্লাওয়ার, লবণ, ও মশলাগুলি দিয়ে পানি দিয়ে ফেটিয়ে ব্যাটার তৈরি করুন। ব্যাটারে একে একে ভুট্টা, পেঁয়াজ, ক্যাপসিকাম, কাঁচা মরিচ, ধনেপাতা কুচি, আদাবাঁটা মেশান। ভালো করে মেখে নিন।

কড়াতে সাদা তেল গরম করে অল্প অল্প করে ব্যাটার নিয়ে পকোড়ার আকারে গরম তেলে ছাড়ুন। লালচে করে ভাজা হলে তেল ঝরিয়ে তুলে নিন।বাড়িতে তৈরি স্বাস্থ্যকর পকোড়া আরও স্বাস্থ্যসম্মত করতে কিচেন ন্যাপকিন পেপারে মুড়ে তেল শুকনো করে নিন। এর ওপরে চাটমশলা ও গোলমরিচ গুঁড়ো ছড়িয়ে চাটনি অথবা সস দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন ভুট্টার পাকোড়া।