৯/৯/ ২০২০
১/
চড়ুইভাতি, বনভোজন আমাদের ছেলেবেলাকার পিকনিক।
২/
রবি বাবুর একটা কবিতা আছেনা,
মাঠের ধারে আমার ছিল চড়ি ভাতির ডাক।
যে যার আপন ভাঁড়ার থেকে যা পেল যেই খানে
মাল মশলা নানারকম জুটিয়ে সবাই আনে।
জাত বেজাতের চালে ডালে মিশোল করে শেষে
ডুমুর গাছের তলাটাতে মিলল সবাই এসে।
বারে বারে ঘটি ভ রে জল তুলে কেউ আনে,
কেউ চলেছে কাঠের খোঁজে আম বাগানের পানে।
হাঁসের ডিমের সন্ধানে কেউ গেল গাঁ য়ের মাঝে।
তিন কন্যা লেগে গেল রান্না করার কাজে।
৩/
সত্যি ছোটবেলার বিভিন্ন ঘটনা আজো হালকা হালকা মনে পড়ে, তাতেই মনে হয় তখন খুব সুন্দর ছিলাম, ভালো ছিলাম, আনন্দে ছিলাম, কোন বেদনা ছিলনা, কোন চিন্তা ছিল না।
৪/
সামাজিক
বৈষম্য ভাঙ্গার আতুড়ঘর ছিলো চড়ুইভাতি। সেই চড়ুইভাতি আমাদেরকে সামাজিকতা শিখিয়েছিল, সেই চড়ুইভাতি আমাদেরকে বৈষম্যহীণ সমাজের গুরুত্ব
বুঝিয়েছে। সেই চড়ুইভাতি আমাদের মায়েদের মমতা আলিঙ্গনের সামাজিক সুযোগ করে
দিয়েছিলো।গোটা সমাজ ছিলো অনেক বেশী বাঁধন হীন কিন্তু অনেক বেশী নিরাপদ।
৫/
বর্তমান সমাজে, বর্তমানের পিকনিকে, সেই আনন্দ কোনদিন হতে পারে না।
No comments:
Post a Comment