Wednesday, December 9, 2020

 



সংস্কৃতি বলতে জীবনের সবকিছু বোঝায়,

আর আমাদের সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অনুমানসমূহ এবং ভাবনা ও অভ্যাস কেবল অন্যের দ্বারা কলকাঠি নাড়ার ফলাফল নয় । কিংবা তা প্রত্যক্ষ প্রশিক্ষণ নয়, যে, যখন ইচ্ছে থামিয়ে দেয়া চলে বা গুটিয়ে নেওয়া যায় । তা যদি হতো তাহলে সংস্কৃতিকে যেদিকে যেমন ইচ্ছে চালনা করা যেতো । ইরানের শাহ শত চেষ্টা করেও নিজের ইচ্ছেমতন চেহারা দিতে পারেননি সেদেশের সংস্কৃতিকে । আবার খোমেইনিও সফল হননি । সাংস্কৃতিক ও ভাষাগত চাপের দরুন পাকিস্তান রাষ্ট্র ভেঙে দু’টুকরো হয়ে গেল । সোভিয়েত দেশও ভেঙে টুকরো-টুকরো হয়ে গেল এবং টুকরোগুলো নিজের সংস্কৃতিতে ফিরে গেল । যোগোস্লাভিয়া ছিৎরে গেল । অথচ চাপিয়ে দেয়া নান্দনিকতার রেশ থেকে সংস্কৃতিটির বিশুদ্ধ মুক্তি বেশ কঠিন, বলা যায় অসম্ভব — পদাবলী বা মঙ্গলকাব্যে আর ফেরা যায় না ।

একশো বছর আগে সুন্দরী বলতে যে দেহকাঠামো ও মুখাবয়ব অনুমোদিত ছিল, এখনকার সুন্দরীর সংজ্ঞা তা থেকে একেবারে আলাদা ।


ক্ষমতার অবয়ব ব্যতিরেকে কুৎসার প্রসার ঘটে না । কুৎসা সর্বদা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ।


No comments:

Post a Comment