Tuesday, December 1, 2020

 

মুনশি জাকির হোসেন: কাঠমোল্লার এ কাল সে কাল


মুনশি জাকির হোসেন: এই উপমহাদেশে প্রথম রেল চালু হলে সেই সময়ের কাঠ মোল্লার দল রেলের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলো, ফতোয়া জারি করেছিলো। তাদের দাবি ছিলো, মাটির ওপর দিয়ে রেল চললে নাকি কবরে আজাব বেশি হবে। এর পর কাঠ মোল্লার দল ফতোয়া দিয়ে বললো, ইংরেজি পড়া হারাম। তারপর কাঠ মোল্লার দল, চিকিৎসা বিজ্ঞান, বিজ্ঞানসহ সকল আধুনিক শিক্ষার বিরুদ্ধে চলে গেলো। নিজেরা শতভাগ মাদ্রাসায় ঢুকে গেল। তারা মাইকের বিরুদ্ধেও এক সময়ে ফতোয়া দিয়েছিলো। এর পর ছবি তোলা শুরু হলে, তারা বললো ছবি তোলা হারাম। কাঠ বলদের দল, সিনেমা, মুভি, নাটক, চলচ্চিত্রের বিরুদ্ধেও ফতোয়া দিয়েছিলো। তারা টিভিকে শয়তানের বাক্সে বলতো। মানুষ যখন চাঁদে যাওয়া শুরু করলো তখন এই কাঠ মোল্লার দল বলা শুরু করলো, এসব মিথ্যা, বানোয়াট, গুজব। কিছুদিন পর, তারাই বললো, নীল আর্মস্ট্রং নাকি চান্দে যেয়ে আজান শুনেছিলো। তারা নাকি মরার আগে মুসলিমও হয়েছিলো, শিবির এটিও প্রচার করেছিলো। তারা আধুনিক অর্থনীতি, ব্যাংকিং, শেয়ার বাজার সবকিছুর বিরুদ্ধেই ফতোয়া দিয়েছিলো। তারা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ব্যবস্থাকে আজীবন ঘৃণা করে এসেছে। তারা গণতন্ত্র হারাম, ভোট দেওয়া হারাম বললো। তারা বললো, ইসলামে গণতন্ত্র নিষিদ্ধ। এখন তারা ভোটে দাঁড়াতে চায়, মানুষের কাছে ভোট চায়, নির্বাচন করে। তারা এখন ছবি তোলে, পোস্টারে ছবি দিয়ে ছয়লাব করে, মসজিদে মাইক বাজায়, মাইকে ওয়াজ করে, ভিডিও করে, নাটক বানায়, গল্গ দিয়ে ইন্টারনেট চালায়, মুভি দেখে (বলে ইসলামি মুভি), ট্রেনে চড়ে, বিমানে চড়ে, হেলিকপ্টারে চড়ে, রোগ হলে ঝাঁড় ফুঁ না দিয়ে ডাক্তারের কাছে যায়। এই সকল কাঠ বলদ, কাঠ মোল্লার দল নিজেরাও জানে ভাস্কর্য কি, মূর্তি কী। তারা ২০০ বছর আগেও যে তিমিরে ছিলো এখনো সেই তিমিরেই আছে। তবে তাদের পরের দান, খয়রাতের টাকায় চলার অভ্যাস দিন দিন আরও সুসংহত হয়েছে। ফেসবুক থেকে

 

No comments:

Post a Comment