গোলাপি চা
গোলাপি চা। অনেকের কাছে তা ‘নুন-চা’। কেউ বা আবার একে চেনেন ‘গুলাবি চায়’ বলে। কাশ্মীরের স্থানীয়দের মতে, গোলাপি চা-পানে বেশ উপকারিতাও রয়েছে। এতে মূল উপকরণ বলতে গ্রিন টি, নুন এবং বেকিং সোডা। চায়ে নুন থাকার ফলে তা পান করলে পাহাড়ি এলাকায় ডিহাইড্রেশন কম হয়।
অনেকেই এই চায়ের কাপে ছড়িয়ে দেন স্টার আনিস। অনেকে আবার এতে আধভাঙা বাদাম ছড়িয়ে দেন।
গোলাপি চায়ের স্বাদ যেমন অপরিচিত, তা তৈরির পদ্ধতিও আলাদা মনে হতে পারে অনেকের। প্রথমে একটি পাত্রে পরিমাণ মতো জলে গ্রিন টি এবং এক চিমটে বেকিং সোডা দিয়ে বেশ অনেক ক্ষণ ধরে ফোটাতে হবে। বেকিং সোডার জেরেই চায়ের রং গোলাপিতে পরিণত হয়। তবে সঙ্গে সঙ্গে তা হয় না। গ্রিন টি-তে বেকিং সোডা দিয়ে জল ফোটালে তা রং বদলে প্রথমে পীতাভ বাদামি রঙের হয়ে যায়। এর পর চায়ে গাঢ় মেরুন রং ধরতে থাকে।
চায়ের রং বদলে বার্গন্ডি হওয়ামাত্র সেই রং ধরে রাখতে পাত্রে বরফ বা ঠান্ডা জল ঢালা হয়। এর পর তাতে দুধ মেশালে গোলাপি রং দেখা যায়।
চায়ের রং বদল হওয়ামাত্রই সঙ্গে সঙ্গে তা পরিবেশন করা হয় না। এর পরেও চা তৈরি বাকি। এ বার একটি হাতায় এই পানীয় ভরে তা চায়ের পাত্র থেকে অন্য পাত্রে বার বার উঁচু-নিচু করে ঢালা হয়। বার বার একই পদ্ধতিতে চা ঢালার ফলে তাতে বাতাস ঢুকে বেশ ফেনা ফেনা হয়ে ওঠে।
লন্ডনের এক চা-বিক্রেতার দাবি, পানীয় তৈরির পর তা হাতায় ভরে উঁচু-নিচু করে চার ঘণ্টা ধরে বার বার ঢালা না হলে এর আসল স্বাদই পাওয়া যাবে না!
আসলে,
গোলাপি চা তৈরি করতে পাকা হাতের প্রয়োজন।
No comments:
Post a Comment