দোজখ গভীর পাতালের নীচে নয়, আবেগের শৃঙ্খলে বন্দী মানুষের মনে।
গল্পে আছে সম্রাট আকবর পুত্র শাহজাদা সেলিমের সাথে প্রেম করার অপরাধে আনারকলিকে দুটি দালানের মধ্যখানে জীবন্ত কবর দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে এটা গল্প মাত্র, বাস্তবে এমন কিছু ঞটেনি। এটা মোঘলদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা মাত্র ছিল।
কিন্তু আমাদের নারী সমাজের বাদশা আকবর পুত্র শাহজাদা সেলিম লাগে না, তারা নিজেরাই নিজেদের মনের ভেতরে নিজেদের জীবন্ত কবর দিয়ে দোজখ রচনা করতে বদ্ধপরিকর। হয় সেটা অভিভাবকের ইচ্ছাতে, আর সেটা না হলে নিজে নিজে আরো গভীরে।
এদেশে বেশিরভাগ মেয়ে কিশোরী বয়সের আদর্শিক চিন্তা বা সমাজে মিডিয়াতে নাটকে নভেলে বা ওয়াজ মাহফিলে যে ভ্রান্ত নারী নিয়ন্ত্রণের বিশ্বাসগুলো ভেসে বেড়ায়, সেগুলোকে সত্য ধরে নিয়ে নিজেরা নিজেদের জন্য সেই আনারকলির চরিত্র রচনা করে।
যেটি ইতালিয় কবি দান্তে তার ডিভাইন কমেডিতে লিখে গেছেন - বন্দী আবেগই দোজখ - এবং সেই দোজখ গভীর পাতালের নীচে নয়, আবেগের শৃঙ্খলে বন্দী মানুষের মনে।
No comments:
Post a Comment