Anushirvan Khosrow
সেমিটিক ধর্মে (ইহুদি, খ্রিস্টান ও ইসলাম) পুনরুত্থানের ধারণা ধীরে ধীরে বিকশিত হয়েছে। এর শিকড় মূলত মেসোপটেমীয়, পারসীয় (জরথুষ্ট্রীয়) এবং সেখান থেকে হিব্রু ঐতিহ্যে ঢুকেছে। প্রাচীন ইহুদি বিশ্বাসে পুনরুত্থান খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল না; বরং এটি পারসিক প্রভাবের ফলে বিকশিত হয়েছে। ইসলাম ধর্মে আব্বাসী খেলাফতের সাথে সাথে, অন্যান্য অনেক কিছুর সঙ্গে পুনরুত্থান ইসলামে যোগ হয়েছে। এর বিস্তারিত বিবরণ পাওয়া যাবে যখন আব্বাসীরা উমায়েদ রাজবংশের জীবিত সদস্যদের ক্রুসবিদ্ধ করার পাশাপাশি মৃত সদস্যদের দেহাবশেষ তুলে ক্রুসবিদ্ধ করে রাখে। এই ক্রুসিফাই করার ঘটনা ইসলামের প্রাথমিক যুগে এত ঘটেছে যে সেটা আইন করে বন্ধ করা হয়। মোটা দাগে আপনার দেহ ইসলামিক রীতিতে, যা আসলে জরথুষ্ট্রীয়বাদ থেকে পাওয়া, কবর না দিলে শেষ বিচারে আপনার দেহ পুনরুত্থান হবে না, এবং আপনার বেহেশত বা স্বর্গে প্রবেশ ঘটবে না। তাহলে সনজীদা খাতুন বা অন্যান্যরা যারা ধর্মে বিশ্বাস করে না, মুসলমানরা কেন তাদের সৎকারের রীতি নিয়ে চিন্তায় থাকে? আসলে মৃতদেহ তো নিজে, নিজের সৎকার করতে পারে না, এটা সমাজের দ্বায়িত্ব মৃতদেহের কোন গতি করা। এ কারণে আমাদের সমাজে ধর্ম নিরেপক্ষ কোন সৎকারের ব্যবস্থা গড়ে তোলা দরকার, শুধুমাত্র এইসব মুসলমান ফ্যানাটিকদের মুখ বন্ধ করার জন্য! জানাজা না পড়ানোর হুমকি ধামকি উপেক্ষা করার সময় হয়েছে। মানুষের মৃত্যুকে ঘিরে এমন নোংরা আস্ফালন আর কোথাও হয় কিনা, জানিনা।
No comments:
Post a Comment