লিঙ্কন BD এর ভাবনা

একটি মেয়ে শিশু জন্মের পর থেকে ছেলে শিশুদের তুলনায় কতটুকু সংগ্রামের ভেতর দিয়ে যেতে হয় তা বোধহয় আমাদের অনেক ছেলেরই ধারণা নেই।

বয়সন্ধিকালে যখন শারিরীক পরিবর্তন, বিশেষ করে যখন বাচ্চাটির পিরিয়ড শুরু হয়, শরীরে মেয়েলি ভাব ফুটে উঠতে থাকে... তখন

শারিরীক যন্ত্রণা

মানসিক অস্বস্তি

চারদিকে লোভাতুর পুরুষ থেকে নিজেকে সামলে রাখা....

ছেলে বাচ্চারা যখন অবাধে ঘুরে বেড়াতে থাকে মেয়ে বাচ্চাটি তখন শারিরীক যন্ত্রণা সহ্য করে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রতিকুল পরিবেশে নিজেকে প্রস্তুত করতে থাকে পৃথিবীতে মানব বংশ ঠিকিয়ে রাখার স্বার্থে।

একসময় মেয়েটি বড় হয়ে বিবাহ নামক বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে একটি অপরিচিত পরিবেশে নিজেকে বিলিয়ে দিতে হয়, সন্তান জন্ম দিয়ে নতুন পরিবার গঠনে। বাচ্চা জন্ম দেয়া এবং বাচ্চা লালনপালন করা যে কত কষ্টকর তা বোধহয় আমরা সবাই জানি। যে নারীর কারনে আমরা পৃথিবীর মুখ দেখতে পেয়েছি সেই নারীর প্রজাতির একটু শারিরীক অবয়ব দেখে যদি নিজেকে সামলাতে না পারি তাহলে আমরা কিসের মানুষ।

একজন নারী যখন নারীত্ব হারাতে থাকে ৪০-৫০ বছর বয়সে, হরমোনাল পরিবর্তন এর জন্য, কতটুকু শারিরীক/মানসিক যন্ত্রণা পোহাতে হয় তা বোধহয় হয় আমরা অনেকেই জানি না।

প্রকৃতির নিয়ম অনুযায়ী একটি মেয়ে সাজতে পছন্দ করে, একটু এক্সপোজ হতে পছন্দ করে। অথচ বেশিরভাগ পুরুষ নামক পশুরা এই স্বাধীনতাটুকু ও দিতে নারাজ। আমি নগ্নতা পছন্দ করি না, উগ্রতা না... তবে একটু সাজা, তবে একটু আকর্ষনীয় করে তুলার স্বাধীনতাটুকু প্রতিটি নারীর অধিকার।

ছোট্ট একটি বাচ্চা... আহারে

তাকেও বাচতে দিলি না তোদের পৈশাচিকতা থেকে...

আমার সবচেয়ে বেশি রাগ ঐ সব লম্পট ধর্ম ব্যবসায়ীদের যারা নিজের জৈবিক চাহিদা মেটানোর জন্য ৩-৪ টা বিয়ে করে বড় বড় ফতোয়া দিয়ে বেড়ায়...