আজ অফিসের দেয়ালে একটা পোস্টারে চোখ পড়ল, তাতে লেখা ছিল “স্পিক আপ” অর্থাৎ মুখ খোল। এটা জাপানে এখন একটি প্রয়োজনীয় স্লোগান। এটার মানে হচ্ছে
“তোমার চারপাশে যদি কোন অনিয়ম চোখে পড়ে তাহলে কথা বল, তাকে থামাও.. যদি না পার তাহলে বসকে জানাও, কলিগ কে জানাও…”
বাংলাদেশের পত্রিকা পড়া ছেড়ে দিয়েছিলাম, আজ কি মনে করে প্রথম আলো ব্রাউজ করলাম, যা দেখলাম তাতে মন ভালো করা ত দুরের কথা, আরও বিষিয়ে উঠছে।
প্রথম সংবাদটি আগের দিন ঘোষণা দিয়ে একজন চারু শিল্পীর বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে আওয়ামীলীগ এর লোকজন, অভিযোগ চারু শিল্পী মানবেন্দ্র পহেলা বৈশাখে হাসিনার মুখাবয়ব তৈরি করেছিল।
হাসিনার বিভৎস মুখাবয়ব মানবেন্দ্র নিশ্চয়ই নিজে গিয়ে বানিয়ে দিয়ে আসেনি, সরকারের লোকজনের নির্দেশই বানিয়েছে। সেক্ষেত্রে সরকারের দায়িত্ব ছিল মানবেন্দ্র এবং তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। সরকার সে দায়িত্ব নেয়নি, মজা করার দরকার ছিল, করেছে.. কে মরল, কে মারল, কে বাঁচল এসব সরকারের বিষয় না।
দ্বিতীয় সংবাদটি একজন শিক্ষককে জোর করে পদত্যাগ করানো, ভদ্রলোক ৩৫ বছর ধরে শিক্ষকতা করছিলেন এবং তার বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কোন অভিযোগ নেই। জামাত এবং বিএনপির লোকজনের মনে করল, তারা একজন শিক্ষককে জোর করে স্কুল থেকে বের করে দিবে, এবং বের করে দিল। সরকার এখানে কোন ইস্যু না।
আরও একটি সংবাদ চোখ পড়ল সোস্যাল মিডিয়ায়, একজন উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে গালিগালাজ করে বের করে দিচ্ছে, বোরকা না পরার কারনে।
আচ্ছা বলেনত আর কতদিন লাগবে এসব ন্যক্কারজনক ঘটনা বন্ধ হতে, এরকম করে একটা দেশ ত চলতে পারে না।
আচ্ছা আমরা বাংলাদেশীরা কবে পারব দলমত উর্ধ্বে গিয়ে সকল অন্যায়/অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলতে।
কেন এখন অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলতে দ্বিধা, কিসের জন্য…. যদি এখন বলতে না পারেন তবে কিসের জন্য পরিবর্তন, কিসের স্বাধীনতা?
এটা কি লুটপাটের স্বাধীনতা, রেপ করার স্বাধীনতা, চুরি/ডাকাতি করার স্বাধীনতা, যা খুশি তা করার স্বাধীনতা, ক্ষমতায় থাকার স্বাধীনতা, চাঁদাবাজী করার স্বাধীনতা…
এই স্বাধীনতা বন্ধ করেন, গাইজ স্পিক আপ লাউডলি… এন্ড নাউ
No comments:
Post a Comment