কিছুদিন আগে আমেরিকায় একটি আরব রেস্তোরাঁয় খাবার খেতে গিয়েছিলাম। খাবার অর্ডার দেয়ার পর শুনি মালিক ফিলিস্তিনী। কর্মচারীরাও সবাই ফিলিস্তিনী। খাবারের মান ও স্বাদ চমৎকার। ফিলিস্তিনী শুনে বিলের সাথে বেশি করে টিপস দিলাম। খোঁজ নিয়ে জানলাম— আমেরিকায় এরকম হাজার হাজার ফিলিস্তিনী দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে। শরণার্থী হিশেবে আছে প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার ফিলিস্তিনী। এ ছাড়া ন্যাচারালাইজড ফিলিস্তিনী-আমেরিকান আছে আরও অনেক। তারা সবাই নিরাপদে আমেরিকায় ব্যবসা করে। চাকরি করে। মাসে কমপক্ষে ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা উপার্জন করে। প্রত্যেকে।
কল্পনা করুন, আমেরিকানরা বা ইহুদীরা ফিলিস্তিনীদের এসব দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও লুটপাট চালাচ্ছে! কেমন লাগবে? বাটা জুতা ইসরায়েলের নয়। কেএফসি ইসরায়েলের নয়। হলেও ক্ষতি নেই। বাঙালি চাইলেই আরেকটা 'বাটা' কোম্পানি তৈরি করতে পারবে না। কিন্তু বাটা জুতা চুরি করতে পারবে। চুরির প্রতিভায় বাঙালি বরাবরই এগিয়ে।
ক্ষমতা হিসেব করে দেখাবেন। সারাবিশ্বে আপনাদের কারণে মুসলমানদের ভিন্ন চোখে দেখা হচ্ছে। মুসলমান নাম শুনলেই এখন ধরে নেওয়া হয় লোকটি খারাপ লোক। যে-মকবুল শ্রমিক ভিসায় মধ্যপ্রাচ্যে গিয়ে মাথা নুইয়ে কাজ করে, সে-মকবুল বাংলাদেশে ঈমানী জোশে বাটা জুতা চুরি করে।
সরকার এদের মূল হোতাদের প্রশ্রয় দিচ্ছে। বাটা ও কেএফসির ঘটনায় বহির্বিশ্বে খুব খারাপ বার্তা গেছে। বিশ্ব জেনে গেছে, বাংলাদেশে বিনিয়োগ নিরাপদ নয়। যেকোনো সময় তাণ্ডব চালাতে পারে তৌহিদী শয়তান।
No comments:
Post a Comment