“মধ্যপন্থা, শব্দটি প্রতারণাপন্থীদের নতুন বটগাছ। জঙ্গীমনষ্ক ধোঁকাপন্থীরা জ্যাকেট পরছে মধ্যপন্থার। কাকে বলে মধ্যপন্থী? আধা চোর আধা সাধু, আধা ডাকাত আধা গেরস্ত, এমন লোককে নিশ্চয়ই মধ্যপন্থী বলতে পারি? আধা মুসলিম আধা কাফের, আধা মক্কা আধা ছক্কা, এমন ব্রোকোলিকে কী নামে ডাকবো? মধ্যধার্মিক?
পূর্ণমূর্খের চেয়ে আধামূর্খ অধিক বিপজ্জনক। আস্তডাকাত সম্ভ্রান্ত ও সৎ, কিন্তু আধাডাকাত অসৎ ও বিভ্রান্ত। মূর্খকে অবলীলায় বলা যায় সে মূর্খ, কিন্তু আধাজ্ঞানী এমন গোলক সৃষ্টি করে, আলো ও ছায়ার, যেন পূর্ণজ্ঞানের চেয়ে আধাজ্ঞানই সুন্দর! ঝকমকে! ধোঁকা যাদের প্রিয় খাদ্য, তারা আধাডাক্তারি আধাকবিরাজি পছন্দ করে। ডিগ্রি এমবিবিএস, কিন্তু কথা বলছে কবিরাজের ভাষায়, বা কবিরাজ হয়ে আউড়াচ্ছে ডাক্তারি বুলি; পড়েছে পদার্থবিজ্ঞান, কিন্তু বিশ্বাস করছে অলীকবিজ্ঞান, এমন জগানাট্য বাঙালি মুসলমানকে আরাম দেয়। দেয় আশা। নিরাশ যখন আশার দেখা পায়, তখন সে গু** খেতেও প্রস্তুত থাকে। কোটি কোটি বেকার নিরাশ লোক ফেসবুকে ঢুকে গু** খাচ্ছে, আশার নামে। গু**য়ের দোকানদারগণ বসে আছে প্যারিস ও নিউ ইয়র্কে।
যিনি বামেও না ডানেও না, তিনিই মধ্যপন্থী— এমনটি রটানো হচ্ছে। অর্থাৎ ভান ধরছে সেকুলার লিবারেলের, আবহ সৃষ্টি করছে ধর্মনিরপেক্ষতার, কিন্তু মুখে নিচ্ছে অন্য নাম। মধ্যপন্থী মাত্রই সেকুলার লিবারেল, ধর্মনিরপেক্ষ সভ্য মানুষ, কিন্তু জঙ্গিমনষ্ক বর্ণচোরারা সেকুলারিজমকে দুটি গালি, লিবারালিজমকে পাঁচটি গালি দিয়ে লোকাতে চাইছে আসল রঙ। বলছে, আমি সেন্ট্রিস্ট! কেন্দ্রমুখী, মধ্যমুখী, ধোঁকামুখী। আধা ছাগল আধা গরু। শিং আধাজোড়া, লেজ আধাপোড়া, বঙ্গভণ্ডরা এটাকে ডাকছে মধ্যপন্থা। মাঝেমধ্যে বলছে প্লুরালিজম! বহুত্ববাদ। এ যেন বৈশাখী মেলা, লিঙ্গুইস্টিক টাউটারির। বাঙালিকে টাউট মধ্যপন্থীর বিষয়ে সাবধান হতে হবে।”
.
—মহিউদ্দিন মোহাম্মদ
(৩৮৪ / ১৫ / অপ্রকাশিত পাণ্ডুলিপি)
No comments:
Post a Comment