Tuesday, June 17, 2025

Celery and sausage stir fry

 

Ingredients


・ 2 stalks of celery


・ 5 sausages


・ A [white soup stock: 2 teaspoons


・ White pepper]: appropriate amount


・ Rice oil: appropriate amount


・ Remove the leaves from the celery, peel the stems with a peeler, and slice diagonally. Roughly chop the leaves.


・ Cut the sausages diagonally to an easy-to-eat thickness.


How to make


1. Heat the rice oil in a frying pan, add the celery stems and sausages, stir fry together, then add the leaves and stir fry quickly


2. Add A and stir fry quickly to finish


Tomatoes with Plum and Kimchi

 

Ingredients:


2 tomatoes


1 umeboshi plum


30g kimchi


[A] 1 tablespoon sesame oil


[A] 1 teaspoon soy sauce


1. Cut off the stems of the tomatoes and cut them into 8 wedges. Remove the seeds from the umeboshi plums and pound them into a paste. Roughly chop the kimchi.

② Put ① and 【A】 into a bowl and mix quickly to finish.

Monday, June 16, 2025

Mixed rice with pickled radish and edamame

 

Ingredients (serves 2)

2 bowls of freshly cooked rice

80g edamame (frozen)

3cm pickled radish

1/2 teaspoon black sesame seeds


[Preparation] 

Wash the pickled radish and chop finely. Thaw the edamame beans naturally and remove them from the pods.


[How to make]

1. Put warm rice in a bowl, add pickled radish and edamame, and mix well. Serve on a plate and sprinkle with black sesame seeds.

Cabbage and Crabsticks with Sweet and Sour Chinese Dressing

 


Ingredients: 

1/4 cabbage, 1 tablespoon dried wakame seaweed, 4 crab sticks, 2 tablespoons sweet vinegar, 1 teaspoon white sesame seeds, 1 teaspoon sesame oil, 2 teaspoons soy sauce

How to make

1. Wash the cabbage thoroughly and cut it into bite-sized pieces, then place it in a heat-resistant bowl with the dried wakame seaweed.

2. Add an appropriate amount of hot water to the bowl and leave it for 1 minute, then discard the water.

3. Add cold water to the bowl to quickly cool the cabbage and dried wakame seaweed, then squeeze out the water thoroughly.

4. Mix the chopped crab sticks, sweet vinegar, white sesame seeds, sesame oil, and soy sauce.

5. Serve on a plate .

Sweet potato toast

 


[Ingredients: 2 servings]

- 2 slices of bread (6 slices)

- 1 baked sweet potato

- 1 egg yolk

- 10g melted butter

- 2 tablespoons milk

- 1 teaspoon sugar

- 4 drops vanilla essence


[How to make]

① Peel one baked sweet potato and place it in a bowl. Add 1 teaspoon of sugar, 10g melted butter, 4 drops of vanilla extract, and 2 tablespoons of milk, and mix well while mashing. If it seems dry, add a little more milk.


② Spread ① on each of 2 slices of bread. Then spread egg yolk on the top, then bake in the toaster oven for 1-2 minutes until lightly browned.

Crepe-style fried egg

 

Ingredients (1 serving)

Wheat flour 20g

Potato starch 20g

Water 50ml

A pinch of salt

Egg 1

Aonori seaweed 1 teaspoon

Okonomiyaki sauce to taste


How to make

1. Add flour, potato starch, water and salt to a bowl and mix well.

2. Add egg and green laver to another bowl and mix well.

3. Heat a small amount of cooking oil (not included in the recipe) in a frying pan, add the dough from step 1 and cook on both sides, then set aside on a plate.

4. Add step 2 to the frying pan and once one side is cooked, place the dough from step 3 on top.

5. Flip and roll up.

6. Cut into bite-sized pieces, arrange on a plate, and top with okonomiyaki sauce if desired.




ইসলাম খুব স ম্ভব আব্বাসি যুগে বিকাশ লাভ ক রেছে

 উমায়াদ ও আব্বাসী খেলাফতের মধ্যে ধর্মতাত্ত্বিক দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য গভীর এবং তা ইসলামের বিকাশে একটি মোড় ঘুরিয়ে দেয়। উমায়াদের হাতে ইসলামের যে রূপ দেখা যায়, তা ছিল অনেক বেশি রাজনৈতিক ও গোত্রগত ক্ষমতার উপর নির্ভরশীল। তারা ইসলামকে একটি গোত্রতান্ত্রিক কাঠামোর অংশ হিসেবে দেখেছেন, যার উদ্দেশ্য ছিল আরব জাতীয়তাবাদের ছাতায় স্থানীয় গোত্রগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করে পারস্য ও বাইজান্টাইন সাম্রাজ্য থেকে ক্ষমতা দখল করা। এ কারণে উমায়াদের যুগে ধর্মীয় তাত্ত্বিক বিন্যাস খুব একটা গড়ে ওঠেনি। কুরআনকে তখনও তারা একটি অনুপ্রেরণামূলক ও প্রতীকী পাঠ হিসেবে ব্যবহার করতেন, কিন্তু এর মধ্যমে সুস্পষ্ট আইন বা রাষ্ট্রীয় কাঠামোর নির্দেশনা তারা প্রতিষ্ঠা করেননি।

অপরদিকে, আব্বাসী খেলাফতের সময় ইসলামকে একটি সুসংগঠিত ধর্মতাত্ত্বিক কাঠামোয় পরিণত করার প্রবল চেষ্টা দেখা যায়। উমায়াদের বিপরীতে, আব্বাসিরা নিজেদের শাসনকে কেবল রাজনৈতিক ক্ষমতা হিসেবে নয়, বরং একপ্রকার ধর্মীয় কর্তৃত্বের অধিকার হিসেবেও তুলে ধরতে চেয়েছে। তারা ভুয়া দাবি করে, নবী মুহাম্মদের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ও বংশধর হিসেবে তারা খেলাফতের প্রকৃত উত্তরাধিকারী। এই দাবিকে প্রতিষ্ঠা করতে গেলে দরকার হয় একটি মৌলিক ধর্মতাত্ত্বিক ও বংশানুক্রমিক কাঠামোর—যা উমায়াদের আমলে অনুপস্থিত ছিল।
আব্বাসিরা শুরুতে কুরআনের তাফসিরের মাধ্যমে এই কাঠামো গঠনের চেষ্টা করে। কুরআনের আয়াতগুলোকে তারা নানা সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ব্যাখ্যা করতে শুরু করে, এবং তাফসির সাহিত্যের বিকাশ ঘটে। কিন্তু এখানে তারা এক বিরাট সীমাবদ্ধতায় পড়েন। কুরআন একটি বহুস্তরীয়, প্রায় আখ্যানধর্মী, সংকেতপূর্ণ ও ধারাবাহিকতাহীন টেক্সট। এতে সামাজিক বা আইনি কাঠামো নির্মাণের জন্য পর্যাপ্ত স্পষ্টতা নেই। যেমন নামাজ, রোজা, বিবাহ, উত্তরাধিকার, শাস্তি, শাসনব্যবস্থা এসব বিষয়ে কুরআন বরং ইঙ্গিতপূর্ণ ও পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দেয়।
এই সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করতে গিয়ে আব্বাসিরা হাদিস সংকলনের দিকে এগিয়ে যায়। নবীর জীবনের উপর ভিত্তি করে তৈরি হওয়া এই বিশাল সাহিত্যিক সংকলনগুলি আসলে ছিল একধরনের ঐতিহাসিক পুনর্গঠন। নবীকে এমন একজন চরিত্রে রূপ দেওয়া হয়, যিনি সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, এবং তার “সুন্নাহ” অনুসরণ করাই প্রকৃত ইসলাম। এইভাবে হাদিস হয়ে ওঠে ইসলামি আইনের মূল উৎস। ফলে ইসলাম একটি বিধানিক ধর্মে পরিণত হয়—যেখানে ফিকাহ, কিয়াস, ইজমা ইত্যাদির মতো ধারণা গড়ে ওঠে এবং তার ভিত্তিতে চারটি সুন্নি মাজহাব জন্ম নেয়।
উমায়াদরা ইসলামের আধ্যাত্মিক দিক বা নবীকে কেন্দ্র করে একটি বিশদ জীবনব্যাখ্যার প্রয়োজন অনুভব করেনি। কিন্তু আব্বাসিদের রাজনৈতিক বৈধতা, এবং একক ধর্মতাত্ত্বিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য এটি ছিল অপরিহার্য। হাদিস ছাড়া কুরআনের উপর ভিত্তি করে তাদের কাঠামো দাঁড় করানো সম্ভব ছিল না। তাই বলা যায়, ইসলামের সেই বিশদ শারিয়াহভিত্তিক কাঠামো যেটি আজ আমরা চিনি—তা মূলত আব্বাসি যুগে হাদিস সংকলনের মাধ্যমে নির্মিত হয়। আমার অনুমান, কুরআনের ব্যাখ্যা দিয়ে ইসলামের কাঠামো তৈরি সম্ভব হয়নি, এবং তাই হাদিস সৃষ্টি হয়।

ইচারমুড়া

 


বিজয়াদশমী তে হাত পেতে দাঁড়াতাম কর্মকার দিদার বাড়িতে। হাতে ধরিয়ে দিতেন ইচার মুড়া। ইচা মানে চিংড়ি আর মুড়া মানে তো মাথা। আসলে এটা একটা মিষ্টি। দেখতে চিংড়ির মাথার মত। তারপর বহুদিন হল এই মিষ্টির কথা ভুলেই গিয়েছিলাম।
হঠাৎ মনে পড়ায় কিছু প্রব্লেম আছে। মনে কুটকুট করতেই থাকে। অনেক কে জিজ্ঞেস করে রেসিপি ঠিকমত পেলাম না। আমার শ্বশুরবাড়ি বরিশাল তবে ইচার মুড়ার রেসিপি সেভাবে কেউ বলতে পারলো না। অনেক খুঁজে পেয়ে গেলাম রেসিপি। দু তিন জন বয়েস্কা মা এর কাছে।
নারকোল কিছুটা বেটে কিছুটা পাতলা কেটে ক্ষির গুড় দিয়ে পাক । খুব সাবধানে নাহলে ভেঙে যাবে। ওপরের কোটিং এমন পাতলা হবে যেমন চিংড়ির মাথা থাকে। এর মুচমুচে কোটিং অথচ মিষ্টি। ওপরে এক সুতো চিনির রস যা পরলেই জমে যাবে। আমি অবশ্য ক্যারামেলাইজ করে দিয়েছি৷

হাগারিজম (Hagarism) কী?

 হাগারিজম একটি ঐতিহাসিক তত্ত্ব এবং ধারণাগত কাঠামো, যা ১৯৭৭ সালে প্যাট্রিসিয়া ক্রোন ও মাইকেল কুকের লেখা Hagarism: The Making of the Islamic World নামক গ্রন্থে উপস্থাপিত হয়। এটি ইসলামের উৎপত্তি সম্পর্কে প্রচলিত ইসলামি বর্ণনার এক গভীর বিকল্প উপস্থাপন করে এবং মূলধারার বর্ণনাকে চ্যালেঞ্জ জানায়।

সংজ্ঞা ও নামের উৎস:
"Hagarism" শব্দটি এসেছে হাগার (হাজার), বাইবেলের সেই নারী চরিত্র যিনি ছিলেন ইব্রাহিমের দাসী এবং ইসমাঈলের মা।
বাইবেল ও ইসলামি উভয় ঐতিহ্যে হাগার ও ইসমাঈলের বংশধররাই আরব বলে গণ্য হন।
তাই, হাগারিজম একটি "বহিরাগত" দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ইসলামের প্রাথমিক পর্বকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, যেখানে আরব মুসলিমদের "হাগারীয়" (Hagarenes) বা হাগারের অনুসারী হিসাবে দেখা হয়।
ধারণাগত কাঠামো:
এই তত্ত্ব শুধু ইতিহাস নয়, বরং এটি একটি জ্ঞানতাত্ত্বিক প্রশ্ন তোলে—আমরা কীভাবে ইসলামের ইতিহাস জানি এবং সেই জ্ঞানের ভিত্তি কতটা নির্ভরযোগ্য?
রিভিশনিস্ট বা সংশোধনবাদী ইতিহাস
ইসলামি ঐতিহ্যগত সূত্র যেমন সীরাহ, হাদীস ও তাফসীর—যা নবীর মৃত্যুর বহু পরে রচিত—তাদেরকে অবিশ্বস্ত বলে বিবেচনা করা হয়।
এর পরিবর্তে, তারা গুরুত্ব দেন সমসাময়িক অ-মুসলিম উৎসে—যেমন গ্রিক, সিরিয়াক, আর্মেনীয় ও ইহুদি লেখকদের বিবরণ।
ইহুদি মসীহীয় আন্দোলন হিসেবে ইসলাম:
এই তত্ত্ব অনুযায়ী, প্রাথমিক ইসলাম ছিল একটি ইহুদি-মসীহীয় রাজনীতি-প্রণোদিত আন্দোলন, যার উদ্দেশ্য ছিল প্রকৃত আব্রাহামীয় ধর্মকে পুনঃস্থাপন করা।
নবী মুহাম্মদ ও তার অনুসারীরা ইহুদিদের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে বাইজান্টাইন ও সাসানীয়দের বিরুদ্ধে সংগ্রামে লিপ্ত হন।
হিজরতকে ব্যাখ্যা করা হয় একটি নতুন "প্রস্থান" বা এক্সোডাস হিসেবে, যেমনটা মূসা করেছিলেন।
নতুন ধর্মের প্রবর্তক নয় বরং সংস্কারক রূপে মুহাম্মদ:
শুরুতে মুহাম্মদ ও তার অনুসারীরা নিজেদেরকে নতুন ধর্মের প্রবর্তক হিসেবে নয়, বরং প্রাচীন সত্য ধর্মের সংস্কারক হিসেবে দেখতেন।
ইসলাম একটি স্বতন্ত্র ধর্ম হিসেবে বিকাশ লাভ করে অনেক পরে, বিশেষ করে উমাইয়া ও আব্বাসীয় যুগে।
কোরআন রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার ফসল:
কোরআনের বর্তমান রূপ রাজনৈতিক ও সাম্রাজ্যিক পটভূমিতে গঠিত হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
প্রাথমিকভাবে বিভিন্ন রূপে ব্যবহৃত কোরআন সম্ভবত ইহুদি ও খ্রিস্টান ধর্মগ্রন্থের সঙ্গে সংলাপমূলক ছিল।
পদ্ধতিগত প্রস্তাব:
হাগারিজম ইসলামি উৎসগুলোকে সমালোচনামূলক পদ্ধতিতে বিশ্লেষণ করার পক্ষে যুক্তি দেয়—যেমনটা বাইবেলিক পাণ্ডিত্য করে থাকে।
এটি ইসলামি ঐতিহাসিক স্মৃতিকে চ্যালেঞ্জ জানায় এবং বিশ্বাসযোগ্যতার মাপকাঠি বদলে দেয়।
বিতর্ক ও প্রতিক্রিয়া:
বইটি প্রচণ্ড বিতর্কের সৃষ্টি করে। অনেকেই এটিকে কল্পনাপ্রবণ ও পক্ষপাতদুষ্ট উৎসনির্ভর বলে সমালোচনা করেন।
পরবর্তীকালে ক্রোন ও কুক নিজেরাই বইটির কিছু অংশ থেকে সরে আসেন, যদিও এটি গবেষণাক্ষেত্রে একটি বিপ্লবী দৃষ্টিকোণ স্থাপন করে। সময় যাবার সাথে সাথে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে! ইসলামের ইতিহাসকে ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গি ছাড়াই নতুনভাবে নির্মাণের একটি প্রচেষ্টা হিসেবে এই মতবাদের গ্রহনযোগ্যতা তৈরি হচ্ছে।রএই ধারণা প্রতিষ্ঠা করে যে ইসলাম একটি ধাপে ধাপে গঠিত ঐতিহাসিক বিকাশ ছিল, যা ইহুদি, খ্রিস্টান ও অন্যান্য নিকটপ্রাচ্য ঐতিহ্য দ্বারা প্রভাবিত। এটি নবী মুহাম্মদকে ঐশী প্রেরণার একমাত্র কেন্দ্র হিসেবে নয়, বরং একটি সামাজিক-রাজনৈতিক আন্দোলনের নেতা হিসেবে ভাবতে উদ্বুদ্ধ করে।
শেষ কথা হিসাবে বলা যায়, হাগারিজম একটি ইতিহাসচর্চা ও তাত্ত্বিক কাঠামো, যা ইসলামকে একটি সম্পূর্ণ রূপে গঠিত ধর্ম হিসেবে নয়, বরং প্রাচীন ইহুদি-খ্রিস্টীয় ঐতিহ্যের সংকর রাজনৈতিক আন্দোলন হিসেবে ব্যাখ্যা করে। পরবর্তীতে এই আন্দোলন বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় রূপান্তরিত হয়ে বর্তমান ইসলামে পরিণত হয়।

Sunday, June 15, 2025

কুরবানির মেজবানি


 রবিবার সুকুবা মসজিদে ছিল কুরবানির মেজবানি । 

আয়োজনে ছিলেন , আইমান হালাল ফুড আর আইমান  রেষ্টুরেন্ট  এর কর্ণধার জিয়া ভাই  আর আফসানা ভাবি।   সুকুবা বাংলাদেশি ক মিউনিটির অনেকের সাথে দেখা হ ল ,  গ ল্প, হাসি ঠাট্টায় কেটে গেল স ময় গুলি । বিরিয়ানি তে ছিল দেশি সবাদ আর স ব চেয়ে বেশি যেটা ভাল লেগেছে তা হ ল সালাদ। কারণ তাতে সরিষা তেলের ফ্লেভার ছিল, ধ নে পাতা আর দেশি কাঁচা পেয়াজ ছিল।

ধ ন্য বাদ জিয়া ভাই আর আফসানা ভাবি কে সুন্দর একটা দুপুর উপ হার দেওয়ার জন্য। 

সমস্যাটা ধর্ম নয়

 সমস্যাটা ধর্ম নয়, সমস্যাটা হল ধর্ম আপনার চিন্তাপ্রক্রিয়ার সামর্থ বা কগনিটিভ এবিলিটিকে গোলমেলে করে দিয়েছে কিনা। চিন্তাপ্রক্রিয়ার সামর্থ বা কগনিটিভ এবিলিটি দুই ভাবে এলোমেলো হয়ে যেতে পারে। এক উয়োক সংস্কৃতি। বাংলাদেশের মেয়েদের ক্ষেত্রে যেমন হয়। একটি মেয়ের যত সমস্যা থাক, বিয়ে দিয়ে দিলে সেটা ঠিক হয়ে যাবে এটা হল সেই উয়োক সংস্কৃতির চিন্তা। যার অর্থ হল মেয়েটাকে মানুষ হিসাবে না ভেবে তাকে দেহসবর্স্ব একটি ভোগ্যবস্তু ভাবা। মেয়েটি নিজেও এটি ভাবা শুরু করলে তখন তার চিন্তাপ্রক্রিয়ার সামর্থ সীমাবদ্ধ হয়ে যায়। জীবনের সব সমস্যাকেই সে বিয়েতে নিয়ে যায় এবং একটি মূল্যবান বর পাবার জন্য যা যা করা দরকার সে সেগুলো করতে থাকে। তার চিন্তা করার ক্ষমতাকে সে অবহেলায় হারায়।

দুই হল জীবনে প্রথম আঘাত পেলে বা প্রথম কোন জটিল সামাজিক মানসিক সমস্যায় পড়লে সে যখন আর সেটা চিন্তা করে সেটার সমাধান করতে পারে না। তখন সে চিন্তা করা থামিয়ে দেয় এবং নিজেকে একটি মানসিক শৃঙ্খলে আবদ্ধ করে। সেটা পশ্চিমা উয়োকিজম হতে পারে, সেটা কোন ধর্মীয় বা রাজনৈতিক বা বাম ভাবধারার উয়োকিজম হতে পারে। এই উয়োকিজম হচ্ছে মনোবিদ্যাগতভাবে নার্সিসিজম। যেখানে মানুষ নিজেকে সম্পূর্ণভাবে নিয়োগ করে তার দল বা গোষ্ঠীর জন্য কি আচরণ করা অভিপ্রেত সেটা শিক্ষা করা এবং সেই আচরণ অনুসরণ করা নিজেকে মূল্যায়িত করা। এই ধরণের আচরণ বহুদিন অনুসরণের ফলে তার মস্তিস্কের সুক্ষ্ম চিন্তা করার ক্ষমতা ঝরে যায় যেটাকে নিউরোসায়েন্সের ভাষায় প্রুনিং বলে।
আমাদের অবিবাহিত মেয়েদের জন্য বিয়ে যেরকম, সব চিন্তাগত সমস্যার সমাধান, পুরুষদের জন্য তেমনই হল ধর্ম। যেমন মানসিক সমস্যা থাকায় কোন মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দেয়া হল, যখন তাকে নিয়ে স্বামী বিপদে, সে তখন ছুটে গেল হাদিসে কি বলা আছে। সেখানে বলা আছে স্ত্রীকে প্রহার করা যাবে। ব্যাস তার সমস্যার সমাধান হয়ে গেল। এখন স্ত্রীর পাগলামি দেখা দিলে সে প্রহার করে।
পশ্চিমা আধুনিক উয়োকিজম কিন্তু চিন্তাগতভাবে একই। সেখানে হাদিসের স্থানে আছে মিডিয়া ও পপুলার কালচার। মানুষ চিন্তা ভাবনা না করে কোন সমস্যায় কি করতে হবে সেটা সোপ অপেরা, নাটক, সিনেমা, টিভি, সামাজিক মাধ্যম থেকে অনুসরণ করে। প্রথা বা পারিবারিক বা সামাজিক মূল্যবোধের আর প্রচলন নাই।
ধর্ম বা আর্ট হিসাবে নাটক, নভেল, সাহিত্য, সিনেমার লক্ষ্য কিন্তু কোন ভাব বা ধারার অনুসরণকারী তৈরি করা নয়। সেটার লক্ষ্য চিন্তাশীলতার চর্চা। জীবনের জটিলতার সরল সূত্র আবিষ্কার করা এবং কিছু সাধারণ মূল্যবোধের প্রতিষ্ঠা যার ফলে সমাজে শান্তি, শৃঙ্খলা এবং মানুষ মনে বিশ্বাস, ভালবাসা এবং আনন্দ বিরাজ করে।
চিন্তাপ্রক্রিয়ার সামর্থ কমে যাওয়া বা কগনিটিভ এবিলিটি ডিক্লাইনেশন কখনই আমাদের সেই পথে নিয়ে যাবে না। সেই কারণে একজন আধুনিক, শিল্পমনা বা ধার্মিক ব্যক্তিকে অবশ্যই জীবনের সুক্ষ্ম বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তায় সক্ষম হতে হবে। যারা জীবনের সুক্ষ্ম বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তায় সক্ষম নয়, তারা ধার্মিক নয়। জীবনের সুক্ষ্ম বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তায় যারা এলোমেলো, ধর্ম বা ঈশ্বর আর মহাবিশ্ব নিয়ে চিন্তা তারা কিভাবে করবে? এরা সবাই ভুয়া।
মানুষ হিসাবে শেখ মুজিবের চিন্তাপ্রক্রিয়া ছিল অত্যন্ত পরিষ্কার। শুধু রাজনীতি নয়, দেশের মানুষ, সমাজ ও ধর্ম নিয়ে তার মনে ছিল স্বচ্ছ ধারণা। তাই নানা প্রলোভন ও আন্তর্জাতিক চাপ সত্বেও তিনি তাঁর বিশ্বাসে অটল ছিলেন। একজন প্রকৃত মুসলান হল যাকে সবাই বিশ্বাস করে, যে ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে বা যে দেশকে ইসলামী রাষ্ট্র বানায় সে নয়। এই কারণেই নানা ব্যর্থতা সত্বেও এমনকি দুর্ভিক্ষের বছরেও তিনি বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছিলেন।
শেখ মুজিবের এই জনপ্রিয়তার কারণ ছিল শুধুই তিনি বিশ্বাসী ছিলেন বলে। যে কারণে তাকে হত্যাকারী সামরিক কর্তারা অন ক্যামেরা ইন্টারভিউতে বলেছিল যে তিনি এত জনপ্রিয় ছিলেন যে তাকে হত্যা করা ছাড়া কোন উপায় ছিল না।
সামনের নির্বাচনেও এই মুসলিম সমাজে মানুষ যাকে বিশ্বাস করে সে ভোট পাবে। যারা তাকে খুন করেছে তারা বা যারা বিদেশের কাছে দেশ বিক্রি করেছে তারা এই বিশ্বাসের ইসলামকে ধরতে পারে না। যেমন ধরতে পারেনি পশ্চিম পাকিস্তানীরা। কারণ তারা বিশ্বাসী ছিল না, তারা ছিল এক একজন শৃগালের মত ধূর্ত ও শঠ।
লন্ডনে বসে যারা দেশের সামনের নির্বাচন ও রাষ্ট্র শাসনের দুরভিসন্ধি ও চক্রান্তে রত, তারা পাকিস্তানিদের অনুসারী যারা নিজেরাও শৃগালের মত ধূর্ত ও শঠ যেটা জাতির কাছে প্রমাণিত। যে যাই বলুক নির্বাচন বিশ্বাসের খেলা। মানুষ যাদের বিশ্বাস করে তারা জিতবে।

Sirajul Hossain 

Saturday, June 14, 2025

Bhetki fish tandoori

 



Ingredients:

Bhetki fish pieces: 5-6

Sour yogurt: 2 tablespoons

Ginger-garlic paste: 1 tablespoon

Coriander powder: 1 teaspoon

Green chili paste: 1 tablespoon

Kashmiri chili powder: 1 teaspoon

Garlic powder: 1 teaspoon

Salt: As per taste

Butter: 1 tablespoon


Method

1) First, wash the fish pieces and drain the water.

2) Mix all the ingredients except butter in a plate.

3) Marinate the drained fish fillets in the mixture for half an hour.

4) If you do not have a tandoori or griller, spread some butter on a non-stick pan.

5) Then bake the marinated fish on both sides.

6) Bhetki fish is very soft. So the fish can break easily. Therefore, you must be very careful when frying fish.

ভেটকি মাছের তন্দুরি,

 


উপকরণ:
ভেটকি মাছের টুকরো: ৫-৬টি
টক দই: ২ টেবিল চামচ
আদা-রসুন বাটা: ১ টেবিল চামচ
ধনে গুঁড়ো: ১ চা চামচ
কাঁচালঙ্কা বাটা: ১ টেবিল চামচ
কাশ্মীরি লঙ্কাগুঁড়ো: ১ চা চামচ
গরম মশলা গুঁড়ো: ১ চা চামচ
নুন: স্বাদ অনুযায়ী
মাখন: ১ টেবিল চামচ

প্রণালী
১) প্রথমে মাছের টুকরোগুলি ধুয়ে জল ঝরিয়ে রাখুন।
২) একটি প্লেটে মাখন বাদে সমস্ত উপকরণ মিশিয়ে নিন।
৩) জল ঝরানো মাছের ফিলেগুলি ওই মিশ্রণে ম্যারিনেট করে রেখে দিন আধ ঘণ্টা।
৪) তন্দুরি করার যন্ত্র বা গ্রিলার না থাকলে ননস্টিক চাটুতে কিছুটা মাখন মাখিয়ে নিন।
৫) তার পর ম্যারিনেট করা মাছগুলো এ পিঠ-ও পিঠ করে সেঁকে নিন।
৬) ভেটকি মাছ খুব নরম হয়। তাই সহজেই মাছ ভেঙে যেতে পারে। মাছ সেঁকার সময়ে তাই অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে।

Wishing for the destruction of others is not a religion.

 Meeting a Palestinian. He said: “The Jews have been calling on Allah for four thousand years. The Muslims have been calling on Allah for fourteen hundred years. It took the Jews four thousand years to understand that Allah does not interfere in the affairs of people and that He does not care about the death of people. It will also take four thousand years for the Muslims. The suffering of the Muslims will not end until four thousand years pass. After four thousand years, they will understand that Allah does not like fanaticism, does not accept the worship of fools, does not bother about women's clothing, and is always on the side of knowledge and science. Why should Allah be on the side of those who can kill a woman for not covering her hair (Masha Amini)? Those who cry when Muslims die, and do not cry when people die; there is no reason for Allah to respond to their call. Unless four thousand years pass, the Muslims will not understand that the world does not belong to Muslims only. It belongs to people. And people survive through struggle, through change, not through prayers and supplications. The excellence of people is basically the excellence of knowledge and science, the excellence of art. Those who believe that if an infidel is killed, Allah is pleased, there is joy at the death of a Jew, happiness at the death of a Hindu, celebration at the death of an atheist, grief at the death of a Muslim, those whose religion is this, will understand after four thousand years that the path was not right. One year for a wise man, four thousand years for a fool. The Jews have abandoned their fanaticism and are clinging to their religion, but the Muslims are not abandoning their fanaticism for fear of losing their religion. They will not understand until four thousand years have passed, that religion is the name of all people living together in the world. Wishing for the destruction of others is not a religion. A religion that does not free people, but imprisons them, is the religion of Satan. It is not of Allah.”

.

— Mohiuddin Mohammad

অন্যের ধ্বংস কামনা কোনো ধর্ম নয়।

 এক ফিলিস্তিনীর সাথে দেখা। বললেন: “ইহুদীরা আল্লাহকে ডাকে চার হাজার বছর ধরে। মুসলমানরা ডাকে চৌদ্দশো বছর ধরে। আল্লাহ যে মানুষের ব্যাপারে নাক গলান না, মানুষের মৃত্যুতে তাঁর কিছু আসে যায় না, সেটা বুঝতে ইহুদীদের চার হাজার বছর লেগেছে। মুসলমানদেরও চার হাজার বছর লাগবে। চার হাজার বছর না গেলে মুসলমানদের দুর্গতি শেষ হবে না। চার হাজার বছর পর তারা বুঝবে— আল্লাহ ধর্মান্ধতা পছন্দ করেন না, মূর্খের এবাদত কবুল করেন না, নারীর পোশাক নিয়ে মাথা ঘামান না, এবং সর্বদা জ্ঞান-বিজ্ঞানের পক্ষে থাকেন। যারা চুল না ঢাকার জন্য একজন নারীকে হত্যা করতে পারে (মাশা আমিনী), তাদের পক্ষে আল্লাহ থাকবেন কেন? যারা মুসলমান মরলে কাঁদে, মানুষ মরলে কাঁদে না; তাদের ডাকে আল্লাহর সাড়া দেওয়ার কারণ নেই। চার হাজার বছর না হলে মুসলমানরা বুঝবে না, পৃথিবীটা কেবল মুসলমানদের নয়। এটা মানুষের। এবং মানুষ টিকে থাকে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে, পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে, দোয়া-দরুদের মধ্য দিয়ে নয়। মানুষের উৎকর্ষ মূলত জ্ঞান-বিজ্ঞানের উৎকর্ষ, শিল্পকলার উৎকর্ষ। যারা বিশ্বাস করে, কাফের মারলে আল্লাহ খুশি হন, ইহুদীর মৃত্যুতে উল্লাস হিন্দুর মৃত্যুতে সুখ নাস্তিকের মৃত্যুতে উৎসব, শুধু বেছে বেছে মুসলমানের মৃত্যুতে শোক, এই যাদের ধর্ম, তারা চার হাজার বছর পর বুঝবে, পথটা সঠিক ছিলো না। জ্ঞানীর এক বছর, মূর্খের চার হাজার বছর। ইহুদীরা ধর্মান্ধতা ত্যাগ করেও ধর্ম আঁকড়ে ধরে আছে, কিন্তু মুসলমানরা ধর্ম হারানোর ভয়ে ধর্মান্ধতা ত্যাগ করছে না। চার হাজার বছর না গেলে বুঝবে না, পৃথিবীতে সব মানুষ মিলেমিশে থাকার নামই ধর্ম। অন্যের ধ্বংস কামনা কোনো ধর্ম নয়। যে-ধর্ম মানুষকে মুক্তি দেয় না, বন্দী করে, সে-ধর্ম শয়তানের ধর্ম। আল্লাহর নয়।”

.

এ কেমন প্ৃথিবী ?

 


গাছ আছে, পাখি আছে, নদী  আছে  ,

নেই কোন শান্তি,

ভালবাসা আছে, স্নেহ আছে, মায়া আছে,

তবে কেন এত ভ্রান্তি?

চাঁদে খুঁজি মানুষ, মঙ্গলে খুঁজি মানুষ,

না কোথাও নেই মানুষ,

এই  প্ৃথিবী ছাড়া।

যুদ্ধ আছে, অশান্তি আছে, রাজনীতি আছে,

এম নি ভাবে চ লতে থাকলে

এই ধরা হবে মানুষ হারা।

এসো  স বাই  হাত ধরি,

গাই শান্তির গান।

ভালবাসা , মায়া দিয়ে ভ রে যাক, 

সব মানুষের প্রাণ।



অনা মিকা সু লতানা

১৫।.৬।.২০২৫



মুরগির মাংসের ঝাল ভর্তা

 

উপকরণ:
৫০০ গ্রাম হাড় ছাড়া মুরগির মাংস, ২ টেবিল রসুন বাটা, ২টি বড় পেয়াঁজ সরু করে কাটা, ২-৩ টেবিল চামচ সর্ষের তেল, ৮-১০টি শুকনো লঙ্কা, স্বাদমতো নুন, ২ টেবিল চামচ ধনেপাতা কুচি, ১ চা চামচ পাতিলেবুর রস, ১ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো, ১ চা চামচ লঙ্কা গুঁড়ো।
পদ্ধতি:
মাংস ধুয়ে জল ছড়িয়ে নিন। মাংসে নুন, হলুদ, লঙ্কার গুঁড়ো, রসুন ও লেবুর রস ভালো করে মাখিয়ে রেখে দিন। এ বার অল্প জল দিয়ে মাংসটা সিদ্ধ করতে বসান। মাংস সিদ্ধ হয়ে গেলে একটি কড়াইতে সর্ষের তেল গরম করুন। এতে অর্ধেক পেঁয়াজ কুচি দিয়ে সিদ্ধ মাংসটা ভেজে নিন। এ বার এই মাংসের মিশ্রণটি শিলনোড়ায় কিংবা মিক্সারে ভালো করে বেটে নিন।

শুকনো লঙ্কাগুলো সর্ষের তেলে ভেজে তুলে রাখুন। এ বার ভর্তা মাখার পালা। একটি পাত্রে শুকনো লঙ্কাগুলো নুন দিয়ে মেখে নিন। তারপর ওই পাত্রেই মাংস বাটা, কাঁচা পেঁয়াজ, ধনেপাতা কুচি ভালো করে মেখে নিন। অল্প সর্ষের তেল ও স্বাদমতো লেবুর রস মিশিয়ে নিন। নুন কম হলে নুনও যোগ করতে পারেন। গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন ঝাল ঝাল মুরগির মাংসের ভর্তা।

Friday, June 13, 2025

নিরামিষ মুগ বেগুন

 

__উপকরণ 🌿

২টো বড় সাইজের বেগুন
আধা কাপ মুগ ডাল
২চামচ টক দই
সামান্য হলুদ গুঁড়ো
ঝাল লঙ্কার গুঁড়ো
কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো
স্বাদ মতোন লবণ
১চামচ জিরের গুঁড়ো
১চামচ ধনের গুঁড়ো
আধা চামচ গরম মশলার গুঁড়ো
সামান্য চিনি
২ লবঙ্গ
৪টে গোলমরিচ
২টোএলাচ
১টাদারচিনি
আস্ত জিরে
১টাশুকনো আস্ত লঙ্কা
১টা তেজপাতা
২চামচ আদা পেস্ট
১চামচ লঙ্কার পেস্ট
২টো টমেটো
১চামচ ঘি
কুচানো ধনেপাতা
রান্নার তেল
_____________

পদ্ধতি🌿

আধা কাপ মুগ ডাল ৩০মিনিট গরম জলে ভিজিয়ে রাখুন, ২টো বড় সাইজের বেগুন সামান্য লম্বা রেখে বড় বড় করে কেটে নিন।
একটি বাটিতে ২চামচ টক দইয়ের সাথে সামান্য হলুদ গুঁড়ো, ঝাল লঙ্কার গুঁড়ো, কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো,সামান্য লবণ, ১চামচ জিরের গুঁড়ো, ১চামচ ধনের গুঁড়ো আধা চামচ গরম মশলার গুঁড়ো, সামান্য চিনি সব মেশান ও ৫মিনিট রেখে দিন।
🌿
তেল গরম করে লবণ ছাড়া হলুদ গুঁড়ো মাখিয়ে বেগুন গুলোকে ভাজুন। এবার ফোড়ন দিন লবঙ্গ, গোলমরিচ, এলাচ, দারচিনি, আস্ত জিরে, শুকনো আস্ত লঙ্কা ও তেজপাতা সামান্য ভেজে নিন। এবার ২চামচ আদা ও লঙ্কার পেস্ট সেই সাথে টমেটোর পেস্ট ভাজুন এবার ভেজানো মুগ ডাল দিয়ে আরো ২মিনিট ভাজুন। এবার ভেজানো দই সহ মশলার মিশ্রণ দিন ও ভাজুন। এবার ২কাপ গরম জল ও স্বাদ মতোন লবণ দিন, কম আঁচে ঢেকে ডাল সিদ্ধ করুন। ডালের দানা সিদ্ধ হলে ভাজা বেগুন গুলো দিন, সামান্য চিনি দিন আবারো ঢেকে ২মিনিট রান্না করুন।
🌿

বেগুন সহ মুগ ডাল ও মশলার মিশ্রণ মাখো মাখো হলে ১চামচ ঘি ও কুচানো ধনেপাতা মেশান। রুটি ,ভাত বা পোলাও দিয়ে পরিবেশন করুন।

মুুগ পাকন পিঠা‌

 

উপকরণ :

চালের গুঁড়া অথবা ময়দা ২ কাপ
ডিমের কুসুম ২ টা
লবণ হাফ চা চামচ
ঘি ৪ টেবিল চামচ
সেদ্ধ মুগডাল আধা কাপ
২ কাপ চিনি সিরার জন্য
এলাচ ২ টা সিরায় দেয়ার জন্য
তেল পিঠা ভাজার জন্য

🍂 প্রস্তুত প্রনালী :
ডো এর জন্য আড়াই কাপ পানি হাড়িতে দিয়ে চুলায় বসিয়ে পানি বলক আসলে লবন দিয়ে চালের গুঁড়া দিতে হবে।এবার চুলার জ্বাল একদম লো করে দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে ৫ মিনিট। পাঁচ মিনিট পর চুলা বন্ধ করে নামিয়ে নিতে হবে।
এবার ডো ঠান্ডা হলে ডো এর সাথে সেদ্ধমুগডাল,ডিমের কুসুম, ঘি দিয়ে ভালো করে মথে সফ্ট ডো তৈরি করে নিতে হবে।
ডো থেকে পরিমান মতো ডো নিয়ে বড় করে ভাড়ি করে রুটি বেলে পছন্দ মত সেপে পিঠা কেটে নিতে হবে।তারপর পছন্দমত টুথপিক দিয়ে পাকন পিঠার নকশা করে নিতে হবে।
পিঠা নকশা করা হয়ে গেলে ২ কাপ চিনির সাথে এক কাপ পানি আর এলাচ দিয়ে সিরা করে নিতে হবে।সিরা হালকা আঠালো হলে নামিয়ে নিতে হবে।

এবার গরম তেলে মিডিয়াম তাপে পিঠাগুলো মচমচে করে ভেজে সিরায় দিয়ে কিছুক্ষণ সিরায় ডুবিয়ে তুলে নিলেই খাওয়ার জন্য তৈরি হয়ে যাবে মজার পাকন পিঠা।

True Education

 


Where even if you buy a phone for lakhs of taka and use it for two months, you don't like it, there you won't like living with a girl for the rest of your life—that's normal."

Any girl would probably be shocked to hear such words from her husband on the first night of marriage. But nothing like that happened to me. Arif (my husband) spoke the truth. Since I am a realistic girl, I really liked this realistic word of Arif.

Not only that, on the first night of marriage, my husband also said,
— "I cannot be asked any questions about where I am doing or not doing, who called me or not, whether I went to a girl-friend's house or not—these things. My phone-laptop will always be away. Don't even think about touching it with bare hands. These are personal things. Just because I got married doesn't mean I will give you my privacy."

I yawned and said,
— "I will remember everything you said. If you had turned off the lights now, I would have gone to sleep. If you want to come closer without turning off the lights, you can come—even if it's a thousand, it's the night of the wedding."
My husband's face turned as if he was a Bengali man after hearing my words. He probably didn't expect me to take his tough words so easily...

The incident happened about three months after our wedding. We were all eating together at night. At that time, I said to my mother-in-law,
— "Shabnur Apa, should I give you fish curry or meat?"

Everyone's eyes widened when I heard my words. My mother-in-law said, "Mother-in-law, why are you calling me Shabnur Apa?"

I smiled and said,
— "Actually, I was getting bored of calling you mother. I didn't feel like calling you anymore. Where even if you buy a phone for lakhs of taka, you don't like it after two months, I've called you mother for three months—that's a lot. If calling you Shabnur Apa is boring, then I will call you Purnima Apa, Moushumi Apa or Apu Biswas-Bubli or something else—so that it is not boring."
After hearing my words, my mother-in-law became mute. No words were coming out of her mouth. My father-in-law's condition was even worse—it seemed like food was stuck in his throat, not going down.
I looked at my father-in-law and said,
— "Shakib Khan, it seems like food is stuck in your throat. Drink some water. It was boring to call you 'father' too. So I thought, I will call you Shakib Khan from today. If this name also feels boring, I will call you Zayed Khan, Hero Alam—something else."
Seeing all this, my husband grabbed my hand and dragged me to the room and got very angry and said,
— "Are you doing injustice to my parents? You will call my mother Apu Biswas and my father Hero Alam! What does all this mean?"
I said with a smile,
— "Am I being sarcastic, or are you? On the first night of marriage, you said, 'Even if you buy a phone for a lakh rupees, you won't like it after two months, you won't like living with a girl there for the rest of your life—that's normal. Comparing your married wife to a phone is nothing but sarcasm. If you don't like calling someone else 'dad' whom you have called 'dad' all your life, why don't you call someone else 'abba'?"
My husband lowered his head after hearing me and remained silent. I went to another room without saying anything else…
.
.
That night, in the middle of the night, my husband started having severe stomach pain. He kept making a lot of ahh and uhh sounds. I whispered in my husband's ear,
— "Scream like 'dad', 'mom'. Even then, don't make such noises. Such noises from a man's mouth are very obscene. People around will think something wrong."
My husband got angry and said,
— "Don't be a fool and call the doctor immediately!"
— "I don't have money on my phone."
— "Give me my phone."
I was surprised to hear this and said,
— "I don't have surgical hand gloves. Won't you get a shock if I touch your phone with my bare hands? Well, let me do one thing—get some kitchen hand gloves from the kitchen."
Say this and I ran and got gloves from the kitchen. But the touchscreen of the phone wasn't working because I was wearing gloves.
My husband then said,
— "For God's sake, take off your gloves!"
I said,
— "Not possible. On the first night of our marriage, you told me not to touch your phone with my bare hands. What if I touch it with my bare hands and get shocked to death? My own safety comes first..."
My husband screamed and screamed,
— "Forgive me this time. There will be no privacy between husband and wife. From today on, my phone will be your phone. Who sent SMS to my phone, who called me—you see everything. At least call the doctor this time!"

.
My father, in-laws, me and my husband are all sitting in the drawing room. At that time, my father said to my in-laws,
— "Beyinsab, I came to take my daughter. Actually, the boys will come to see my daughter next Sunday."

Hearing this, my in-laws were surprised and said,
— "You mean to see your daughter! You have only one daughter, who is currently my son's wife."

My father then said in a light voice,
— "Actually, Beyinsab, where even if you buy a phone for lakhs of taka, you don't like it after two months, you won't like living with one boy for the rest of your life—that's normal. My daughter doesn't like living with your son. So I will get married somewhere else."
Before my in-laws could say anything, my husband grabbed my father's hand and said,
— "Father, I have made a big mistake. Next time I will never say such nonsense to your daughter. Your daughter has taught me a real lesson. You will not teach me again..."
Seeing my husband's condition, my father looked at me. I made a gesture to explain to my father—I will forgive my poor husband this time.

 


বাস্তব শিক্ষা

 



যেখানে লাখ টাকা দিয়ে ফোন কিনলেও সেটা দুই মাস ব্যবহার করার পর আর ভালো লাগে না, সেখানে একটা মেয়ের সাথে সারাজীবন সংসার করা ভালো লাগবে না—এটাই স্বাভাবিক।"

বিয়ের প্রথম রাতে স্বামীর মুখ থেকে এমন কথা শুনলে যেকোনো মেয়ের হয়তো পা থেকে মাটি সরে যেত। কিন্তু আমার তেমন কিছুই হয়নি। আরিফ (আমার স্বামী) বাস্তব কথা বলেছে। যেহেতু আমি বাস্তববাদী মেয়ে, সেহেতু আরিফের এই বাস্তবসম্মত কথাটা আমার খুব ভালো লেগেছে।
শুধু তাই না, আমার স্বামী বিয়ের প্রথম রাতে আরও বলেছে,
— "আমি কোথায় কী করছি, না করছি, কে কল দিলো না দিলো, কোন মেয়ে-ফ্রেন্ডের বাসায় গেলাম, না গেলাম—এইসব বিষয় নিয়ে আমায় কোনো প্রশ্ন করা যাবে না। আমার ফোন-ল্যাপটপ সবসময় দূরে থাকবে। কখনো খালি হাতে স্পর্শ করারও চিন্তা কোরো না। এইগুলো পার্সোনাল জিনিস। বিয়ে করেছি মানে এই না যে আমি আমার প্রাইভেসি তোমায় দিয়ে দেবো।"
আমি হাই তুলতে তুলতে বললাম,
— "যা বলেছেন, সব মনে থাকবে। তা এখন যদি লাইট অফ করে দিতেন, তাহলে ঘুমিয়ে যেতাম। লাইট অফ না করে যদি কাছে আসতে চান, তাহলে আসতে পারেন—হাজার হোক, বাসর রাত বলে কথা।"
আমার কথা শুনে আমার স্বামীর মুখটা যেন বাংলার পাঁচের মতো হয়ে গেলো। উনি হয়তো আশা করেননি, উনার এত কঠিন কথাগুলো আমি এত সহজভাবে নেবো…

বিয়ের মাস তিনেক পরের ঘটনা। রাতে সবাই মিলে খাচ্ছিলাম। এমন সময় আমি শ্বাশুরিকে বললাম,
— "শাবনূর আপা, আপনাকে মাছের তরকারি দেবো নাকি মাংসের?"
আমার কথা শুনে সবার চোখ কপালে উঠে গেলো। শ্বাশুরি আমতা-আমতা করে বললেন,
— "বউমা, তুমি আমায় শাবনূর আপা বলে ডাকছো কেন?"
আমি মুচকি হেসে বললাম,
— "আসলে আপনাকে মা ডাকতে ডাকতে বোরিং হয়ে যাচ্ছিলাম। আর ডাকতে ভালো লাগছিল না। যেখানে লাখ টাকা দিয়ে ফোন কিনলেও সেটা দুই মাস পর আর ভালো লাগে না, সেখানে আপনাকে তিন মাস মা বলে ডেকেছি—সেটাই তো অনেক। শাবনূর আপা ডাকতে ডাকতে যদি বোরিং লাগে, তাহলে পূর্ণিমা আপা, মৌসুমি আপা কিংবা অপু বিশ্বাস-বুবলী কিছু একটা নামে আপনাকে ডাকবো—যাতে বোরিং না লাগে।"
আমার কথা শুনে শ্বাশুরি বোবার মতো হয়ে গেলেন। উনার মুখ দিয়ে কোনো কথা বের হচ্ছিল না। শ্বশুরের অবস্থা তো আরও খারাপ—মনে হচ্ছিল খাবার উনার গলায় আটকে গেছে, নিচে নামছে না।
আমি শ্বশুরের দিকে তাকিয়ে বললাম,
— "শাকিব খান, আপনার গলায় মনে হয় খাবার আটকে গেছে। আপনি একটু পানি খান। আপনাকেও 'বাবা' বলে ডাকতে ডাকতে বোরিং লাগছিল। তাই চিন্তা করলাম, আপনাকেও আজ থেকে শাকিব খান বলে ডাকবো। এই নামেও বোরিং ফিল এলে জায়েদ খান, হিরো আলম—কিছু একটা বলে ডাকবো।"
এইসব দেখে আমার স্বামী আমাকে হাত ধরে টেনে রুমে নিয়ে গিয়ে প্রচণ্ড রেগে গিয়ে বললো,
— "তুমি আমার মা-বাবার সাথে ফাইজলামি করছো? আমার মাকে অপু বিশ্বাস, আর বাবাকে হিরো আলম ডাকবে! এইসবের মানে কী?"
আমি মুচকি হেসে বললাম,
— "ফাইজলামি আমি করছি, নাকি তুমি করছো? বিয়ের প্রথম রাতেই তুমি বলেছিলে, 'লাখ টাকা দিয়ে ফোন কিনলেও সেটা দুই মাস পর ভালো লাগে না, সেখানে একটা মেয়ের সাথে সারাজীবন সংসার করা ভালো লাগবে না—এটাই স্বাভাবিক।' একটা ফোনের সাথে নিজের বিবাহিত বউকে তুলনা করা ফাইজলামি ছাড়া আর কিছু না। সারাজীবন যাকে 'বাবা' বলে ডেকে এসেছো, তাকে এখন 'বাবা' বলে ডাকতে ভালো না লাগলে, অন্য কাউকে আব্বা বলে ডাকবে নাকি?"
আমার কথা শুনে আমার স্বামী মাথা নিচু করে চুপ হয়ে রইলো। আমি আর কিছু না বলে অন্য রুমে চলে এলাম…
সেদিন মাঝরাতে আমার স্বামীর প্রচণ্ড পেট ব্যথা শুরু হলো। আহহ উহহ করতে করতে সারাবাড়ি মাথায় তুলে ফেললো। আমি স্বামীর কানে কানে বললাম,
— "বাবাগো, মা গো বলে চিল্লাও। তারপরেও এই রকম আওয়াজ করো না। একজন পুরুষ মানুষের মুখ থেকে এমন আওয়াজ খুব অশ্লীল শুনায়। আশেপাশের মানুষজন ভুল কিছু ভাববে।"
আমার কথা শুনে স্বামী রেগে গিয়ে বললো,
— "ফাইজলামি না করে তাড়াতাড়ি ডাক্তারকে ফোন দাও!"
— “আমার ফোনে টাকা নাই।"
— "আমার ফোন দিয়ে দাও।"
এটা শুনে আমি অবাক হয়ে বললাম,
— "আমার কাছে তো সার্জিক্যাল হ্যান্ড গ্লাভস নাই। খালি হাতে তোমার ফোন স্পর্শ করলে শক লাগবে না? আচ্ছা, এক কাজ করি—রান্নাঘর থেকে কিচেন হ্যান্ড গ্লাভস নিয়ে আসি।"
এই কথা বলে আমি দৌড়ে রান্নাঘর থেকে গ্লাভস আনলাম। কিন্তু গ্লাভস পরার কারণে ফোনের টাচস্ক্রিন কাজ করছে না।
আমার স্বামী তখন বললো,
— "আল্লাহ দোহাই লাগে, গ্লাভস খুলে নাও!"
আমি বললাম,
— "সম্ভব না। বিয়ের প্রথম রাতেই তুমি বলেছিলে, তোমার ফোন যেন আমি খালি হাতে স্পর্শ না করি। এখন যদি খালি হাতে স্পর্শ করি আর শক খেয়ে ম*রে যাই? নিজের সেফটি আগে…"
আমার স্বামী চিল্লাতে চিল্লাতে বললো,
— "এইবারের মতো মাফ করে দাও আমায়। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রাইভেসি বলে কিছু থাকবে না। আজ থেকে আমার ফোন মানেই তোমার ফোন। আমার ফোনে কে SMS দিলো, কে কল দিলো—সব তুমি দেখো। এইবার অন্তত ডাক্তারকে কল দাও!"
ড্রয়িং রুমে আমার বাবা, শ্বশুর-শ্বাশুড়ি, আমি এবং আমার স্বামী সবাই বসে আছি। এমন সময় বাবা আমার শ্বশুর-শ্বাশুড়িকে বললেন,
— "বেয়াইনসাব, আমি এসেছিলাম আমার মেয়েকে নিয়ে যেতে। আসলে সামনের রবিবার ছেলেপক্ষ আমার মেয়েকে দেখতে আসবে।"
এটা শুনে শ্বশুর-শ্বাশুড়ি অবাক হয়ে বললেন,
— "আপনার মেয়েকে দেখতে আসবে মানে! আপনার তো একটা মাত্র মেয়ে, যে বর্তমানে আমার ছেলের বউ।"
বাবা তখন হালকা গলায় কেশে বললেন,
— "আসলে বেয়াইনসাব, যেখানে লাখ টাকা দিয়ে ফোন কিনলেও সেটা দুই মাস পর আর ভালো লাগে না, সেখানে একটা ছেলের সাথে সারাজীবন সংসার করা ভালো লাগবে না—এটাই স্বাভাবিক। আমার মেয়ের আপনার ছেলের সাথে সংসার করতে ভালো লাগছে না। তাই অন্য জায়গায় বিয়ে দেবো।"
শ্বশুর-শ্বাশুড়ি কিছু বলার আগেই আমার স্বামী আমার বাবার কাছে হাত জোর করে বললো,
— "বাবা, আমার অনেক বড় ভুল হয়ে গেছে। নেক্সট টাইম আপনার মেয়েকে এমন ফালতু কথা জীবনেও বলবো না। আপনার মেয়ে আমায় বাস্তব শিক্ষা দিয়েছে। আপনি আর শিক্ষা দিতে যাবেন না…"
স্বামীর অবস্থা দেখে বাবা আমার দিকে তাকালেন। আমি ইশারায় বাবাকে বুঝিয়ে দিলাম—এইবারের মতো বেচারা স্বামীকে মাফ করে দাও।