সামাজিক মাধ্যমে দেখি মি-টু প্রকাশের লাইন লেগেছে.... নারী নির্যাতন সোশিওপ্যাথির একটি লক্ষন, এর মূলে আছে নারী বিদ্বেষ বা মিসজিনি। যার সাথে জড়িত রাজনৈতিক অবস্থানও। এই দুনিয়াতে সবকিছু সংযুক্ত, যদি সংযোগটা দেখতে পান।
-----------
ভারত বিদ্বেষ আর নারী বিদ্বেষ একই নিউরোটিসিজম থেকে উৎপন্ন। কোন সেতুর উপর দাঁড়িয়ে থাকা এক পাগলকে যদি বলেন সেতু না নাড়াতে, তার আনন্দটাই তখন হয়ে ওঠে সেতুটাকে নাড়ানো। তেমনই একজন নৈরাজ্যবাদী বা এনার্কিস্টকে যদি বলেন সেতু না নাড়াতে, তখন তার জীবনের লক্ষ্যই হয়ে ওঠে সেতুটা ধ্বংস করা। এর কারণ মনোবৈজ্ঞানিকভাবে নৈরাজ্যবাদীর আত্মার গভীরের বিশ্বাস বা কোর বিলিফ হচ্ছে আত্মঘৃণা ও আত্মধ্বংস।
কমিউনিস্ট অতি বাম ও ধর্মীয় অতি ডান উভয় শ্রেনীই অবচেতনে নৈরাজ্যবাদী। নিজ মাটি মানুষ ছেড়ে দূর আদর্শে এরা বিশ্বাসী। এরা কিন্তু নারীবিদ্বেষীও। কেন তারা নারীবিদ্বেষী? কারণ হচ্ছে সে অবচেতনে নিজেকে ঘৃণা করে। বস্তুগতভাবে সে জন্ম নিয়েছে মায়ের পেট থেকে। মা একান্ত কাছের কেউ, কাছ মানে নিজ, তাই মা বা মায়ের জাতী বা নারী জাতীও তার কাছে ঘৃণ্য। এনার্কিস্টরা নিজের মত নিজের দেশকেও ঘৃণা করে। নিজের দেশের চেয়ে দুরের কেউ তার কাছে আদর্শ। দেশটা যেহেতু ভারতবর্ষের পেট থেকে জন্ম নিয়েছে এবং অতি নিকটে। তাই সেটাও তার কাছে ঘৃণ্য। এটাই এদেশের কমিউনিস্ট অতি বাম ও ধর্মীয় অতি ডান উভয় শ্রেনীর ভারতবিদ্বেষের মনোজাগতিক কারণ।
No comments:
Post a Comment