এক ফিলিস্তিনীর সাথে দেখা। বললেন: “ইহুদীরা আল্লাহকে ডাকে চার হাজার বছর ধরে। মুসলমানরা ডাকে চৌদ্দশো বছর ধরে। আল্লাহ যে মানুষের ব্যাপারে নাক গলান না, মানুষের মৃত্যুতে তাঁর কিছু আসে যায় না, সেটা বুঝতে ইহুদীদের চার হাজার বছর লেগেছে। মুসলমানদেরও চার হাজার বছর লাগবে। চার হাজার বছর না গেলে মুসলমানদের দুর্গতি শেষ হবে না। চার হাজার বছর পর তারা বুঝবে— আল্লাহ ধর্মান্ধতা পছন্দ করেন না, মূর্খের এবাদত কবুল করেন না, নারীর পোশাক নিয়ে মাথা ঘামান না, এবং সর্বদা জ্ঞান-বিজ্ঞানের পক্ষে থাকেন। যারা চুল না ঢাকার জন্য একজন নারীকে হত্যা করতে পারে (মাশা আমিনী), তাদের পক্ষে আল্লাহ থাকবেন কেন? যারা মুসলমান মরলে কাঁদে, মানুষ মরলে কাঁদে না; তাদের ডাকে আল্লাহর সাড়া দেওয়ার কারণ নেই। চার হাজার বছর না হলে মুসলমানরা বুঝবে না, পৃথিবীটা কেবল মুসলমানদের নয়। এটা মানুষের। এবং মানুষ টিকে থাকে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে, পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে, দোয়া-দরুদের মধ্য দিয়ে নয়। মানুষের উৎকর্ষ মূলত জ্ঞান-বিজ্ঞানের উৎকর্ষ, শিল্পকলার উৎকর্ষ। যারা বিশ্বাস করে, কাফের মারলে আল্লাহ খুশি হন, ইহুদীর মৃত্যুতে উল্লাস হিন্দুর মৃত্যুতে সুখ নাস্তিকের মৃত্যুতে উৎসব, শুধু বেছে বেছে মুসলমানের মৃত্যুতে শোক, এই যাদের ধর্ম, তারা চার হাজার বছর পর বুঝবে, পথটা সঠিক ছিলো না। জ্ঞানীর এক বছর, মূর্খের চার হাজার বছর। ইহুদীরা ধর্মান্ধতা ত্যাগ করেও ধর্ম আঁকড়ে ধরে আছে, কিন্তু মুসলমানরা ধর্ম হারানোর ভয়ে ধর্মান্ধতা ত্যাগ করছে না। চার হাজার বছর না গেলে বুঝবে না, পৃথিবীতে সব মানুষ মিলেমিশে থাকার নামই ধর্ম। অন্যের ধ্বংস কামনা কোনো ধর্ম নয়। যে-ধর্ম মানুষকে মুক্তি দেয় না, বন্দী করে, সে-ধর্ম শয়তানের ধর্ম। আল্লাহর নয়।”
No comments:
Post a Comment